বিশেষ প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক মুনাফার স্বার্থে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে এবং এই অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যকে বৃদ্ধি করতে পারি।’ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ত্রাণ ভ্যান খোয়া গতকাল রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত্ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা উল্লিখিত কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশিদের হূদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে এবং দুটি রাষ্ট্রই তাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় ভিয়েতনামের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতার হাতকে প্রসারিত করেছে। স্বাধীনের পর বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের ভিয়েতনাম সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার বড়ো ছেলে শেখ কামালও ঐ দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার শুভেচ্ছা প্রেরণ করেন এবং ২০১২ সালে তার ভিয়েতনাম সফরের কথাও স্মরণ করেন। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের ব্যবসা, পর্যটন এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা দুজন দুজনার কাছ থেকে শিখতে পারি।’
ত্রাণ ভ্যান খোয়া দুই দেশের মধ্যে বাত্সরিক ব্যবসার পরিমাণ ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা একে ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে তার অবস্থানকালীন তিন বছরে তিনি এই প্রশংসনীয় উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘এই উন্নয়নের দরুন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছে।’ দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনাম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।’ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত উভয়েই বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে আগামীর দিনগুলোতে সম্পর্ক আরো গভীর হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।