শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রুতি

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:০১

জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) এর আয়োজনে মৌলভীবাজার-৪ আসন (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) নির্বাচনী এলাকায় একই মঞ্চে উঠেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থী। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মুখোমুখি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রার্থীরা।

সুজন কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি নীহারেন্দু ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে ও মৌলভীবাজার কমিটির সভাপতি জওহর লাল -এর সঞ্চালনায় জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুজন -এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। চা বাগান অধ্যুষিত এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর ছালাউদ্দিন, বিএনপির মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের ড. মো. আব্দুস শহীদ ও গণফোরাম -এর অ্যাডভোকেট শান্তি পদ ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে শান্তি পদ ঘোষ ব্যতিত অন্য তিন প্রার্থী একই মঞ্চে উঠে স্ব স্ব প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই রাষ্ট্র ও দেশ জনগণের। তাই জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে দেখে, শুনে ও বুঝে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে হবে।  অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, এবার বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। বেকারত্ব দূরীকরণ, নারী উন্নয়নসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়নে তিনি নৌকায় ভোট প্রদানের আহ্বান জানান।

বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, উন্নয়নে বিশ্বাসী বিএনপি। তাই নিজে নির্বাচিত হলে কমলগঞ্জে মানুষের প্রধান দাবি ধলাই নদীর বন্যা সমস্যার সমাধান, চা শ্রমিকদের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধনে ধানের শীষে ভোট প্রদানের দাবি জানান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর ছালাউদ্দিন বলেন, ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় দেশ দুর্নীতি মুক্ত সুস্থ, সুন্দর সমাজ গঠনে হাত পাখায় ভোট প্রদানের দাবি জানান। শেষে উপস্থিত জনগণের মধ্য থেকে তিনটি করে প্রশ্নের উত্তর দেন তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। অনুষ্ঠানে সুজনের পক্ষে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন উপজেলা কমিটির সম্পাদক প্রভাষক রাবেয়া খাতুন।