নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার মঙ্গলেশ্বরী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে খারনই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম ও খেলার মাঠ। সড়কসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও হুমকির মুখে। প্রতি বছরের ভাঙনের কবলে পড়ে আরো বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি। গোবিন্দপুর গ্রাম এলাকা সরেজমিনে দেখা গেছে, এই এলাকার প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গোবিন্দপুর গ্রামের বিশাল অংশ এরই মধ্যে মঙ্গলেশ্বরী নদীর পেটে চলে গেছে। এই এলাকার ফুটবল মাঠটিও এখন হুমকির সম্মুখীন। খারনই গ্রাম, হাট গোবিন্দপুর বাজারও হুমকিতে আছে। এছাড়া কলমাকান্দার মহেষখলা নদীর ভাঙনের কবলে বিজিবি ক্যাম্প, মহাদেও নদীর ভাঙনের কবলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উপাসনালয় মারিয়া মিশন এবং বরুয়াকোনা বাজার হুমকিতে পড়েছে।
কলমাকান্দার অধিবাসী মানিক সরকার বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে মঙ্গলেশ্বরী নদীর ভাঙনে গোবিন্দপুর ফুটবল খেলার মাঠ ও বাজার নদীগর্ভে চলে যাবে। খারনই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুল হক গতকাল শুক্রবার বলেন, নদীর ভাঙন থেকে গোবিন্দপুর গ্রাম, এলাকার সড়ক এবং খেলার মাঠ রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, তিনি কলমাকান্দা উপজেলার নদী ভাঙন এলাকাগুলো কয়েকবার পরিদর্শন করেন এবং ভাঙন এলাকায় বাঁধ নির্মান করে সুরক্ষার জন্য এলাকার সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের সঙ্গে কথা বলে ১৩টি প্রকল্প প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান করেছেন। এদিকে নেত্রকোনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অর্থ বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে। এদিকে অবিলম্বে ভাঙন এলাকাগুলোতে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে লোকালয় রক্ষা করার জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।