শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কামারখন্দে জনপ্রিয় হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ২১:১৯

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা

কামারখন্দে নেপিয়ার পাকচুং ঘাস খামারিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর উত্পাদন ও ব্যবহারে সফলতার মুখ দেখছেন খামারিরা। নেপিয়ার ঘাসের তুলনায় নেপিয়ার পাকচুং ঘাস চার গুণ বেশি উত্পাদনশীল হওয়ায় এই ঘাস চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে পশুখামারিদের। 

নেপিয়ার পাকচুং ঘাসের কাটিং লাগানোর ৪৫ দিন পর ঘাস কাটার উপযোগী হয়। এই ঘাস নরম, মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় পশুর চাহিদা বেশি থাকে। নেপিয়ার পাকচুং ঘাস পশুকে খাওয়ানোর ফলে পশুর দুধ উত্পাদন বাড়ার পাশাপাশি দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে গাভি গর্ভবতী হওয়া, গর্ভবতী পশুর বাচ্চা হলে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হওয়ার প্রবণতা কম থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পল্লী কর্ম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে (পিকেএসএফ) ও বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি)-এর ডেইরি ভ্যালুচেইন প্রকল্পের বাস্তবায়নে গত এক বছরে উপজেলার ১৫০ জন খামারিকে নেপিয়ার পাকচুং ঘাস চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সফলতা দেখে এই ঘাস চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে খামারিদের। নেপিয়ার পাকচুং ঘাসচাষি উপজেলার ভারাঙ্গা গ্রামের রায়হান জানান, এই ঘাসে আয় বেশি। অপচয় কম হয়, দুধ উত্পাদন বাড়ার পাশাপাশি সবচেয়ে বড়ো লাভ হয়েছে আমার চারটি গাভিই দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে গর্ভবতী হয়েছে। একই গ্রামের নেপিয়ার পাকচুং ঘাসচাষি আবুল কালাম জানান, এনডিপির মাধ্যমে এই ঘাসের কাটিং পেয়েছি। নেপিয়ার পাকচুং ঘাস দুই হাত পর পর দূরত্বে লাগাতে হয়। শীতকালে এই ঘাস দ্রুত বড়ো হয়।