শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কেসিসি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ২১:১৯

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব

৫০০ এলইডি লাইটশেড অকেজো

খুলনা অফিস

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে প্রবল বর্ষণে কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে বড়ো বড়ো খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। প্রচণ্ড ঝড়ো ও দমকা হাওয়ায় অনেক স্থানে সাইডওয়াল ভেঙে পড়েছে ও গাছ উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক তার ও পাঁচ শতাধিক এলইডি লাইটশেড অকেজো হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও লাইট মেরামতে অন্তত ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। এরই মধ্যে সম্ভাব্য খরচ নিরূপণ ও তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৯ ও ১০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা, ড্রেন, সাইডওয়াল ও কালভার্টে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সড়কগুলো হচ্ছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকতলা মেইন রোড ও কেদারনাথ ক্রস রোড, ২ নম্বর ওয়ার্ডের আনসার ফ্লাওয়ার মিল, এস আর সিরাজী রোড ও রেলিগেট শ্মশান রোড, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আঞ্জুমান রোড বাইলেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ আমজাদ সড়ক বাইলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিআইডিসি রোড, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুজগুন্নী মহাসড়ক, শহীদ আবু নাসের হাসপাতাল রোড, মুজগুন্নি মেইন রোড, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর সড়ক, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুজগুন্নী মহাসড়ক ও জলিল সরনি, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশানঘাট রোড, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুজগুন্নী মহাসড়ক (পশ্চিম পাশ ও পূর্ব পাশ, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বয়রা পূজা খোলা পর্যন্ত), বয়রা মেইন রোড, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এম এ বারী সড়ক লিংক রোড (সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে ময়ূরী ব্রিজ পর্যন্ত), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবরচাকা মেইন রোড ও হাজী ইসমাইল রোড, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের যশোর রোড (সার্কিট হাউজ থেকে ডাকবাংলো মোড়), জব্বার সড়ক (মিনা বাজার থেকে স্টেশন রোড), ২২ নম্বর ওয়ার্ডের গগণ বাবু রোড (আংশিক), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্যার ইকবাল রোড ও বাইতিপাড়া রোড, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী মেহের আলী রোড, ইকবাল নগর রোড ও জাহিদুর রহমান রোড, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী ইসমাইল লিংক রোডের শেষাংশ (আলামিন মহল্লার মোড় হতে আউটার বাইপাস পর্যন্ত ও সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা থেকে বানরগাতি), ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বানিয়াখামার মেইন রোড (আংশিক), ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়াপাড়া মেইন রোড (পিটিআই মোড় থেকে বিকে ইস্ট মসজিদ রোড), ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের টিবি ক্রস রোড, এমটি রোড ও রূপসা স্ট্যান্ড রোড, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের টুটপাড়া মেইন রোড, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শিপইয়ার্ড রোড ও আল-আমিন সড়ক। এছাড়া এ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ৩১টি ওয়ার্ডের অন্তত ৫০০ এলইডি লাইটশেড নষ্ট ও অকেজো হয়েছে। পাশাপাশি অনেক স্থানে গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে।

কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুত্) জাহিদ হোসেন সেখ বলেন, বুলবুলের আঘাতে সড়কের বাতি ও লাইনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ সড়কে বাতির লাইনের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। পাশাপাশি অন্তত পাঁচ শতাধিক এলইডি লাইটশেড নষ্ট ও অকেজো হয়ে পড়েছে। এসব তার ও লাইটশেড মেরামতে ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন।

কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী (চ. দ.) মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আগে-পরে প্রবল বর্ষণে ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে বড়ো বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু ড্রেন-কালভার্ট ও সাইডওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের খরচ নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে অন্তত ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর সড়ক ও বিদ্যুতের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। মন্ত্রণালয় টাকা বরাদ্দ দিলে সংস্কার কাজ আরম্ভ করা সম্ভব হবে।