জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
দেশের সর্ব দক্ষিণে স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন বঙ্গোপসাগরের মধ্যে আছে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। ঐ দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন সাত কিলোমিটার অদূরে রয়েছে ছেঁড়াদ্বীপ। আর এই ছেঁড়াদ্বীপে এখন পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
ছেঁড়াদ্বীপে না গেলে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুধাবন করা সত্যি কঠিন। সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজারও পর্যটক নীল জলরাশি পেরিয়ে ছেঁড়াদ্বীপের দিকে ছুটছেন।
ময়মনসিংহ থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক জায়েদ জানান, ছেঁড়াদ্বীপে না আসলে মনে হয় যেন এটি একটি রুপকথার গল্প। ছেঁড়াদ্বীপ সত্যি অনেক অনেক সুন্দর। খালি চোখে জীবন্ত কোরাল, শৈবাল এবং প্রবাল দেখলেই মন ভরে যায়। ছেঁড়াদ্বীপে বেড়াতে আসা আসাদ এবং এইচ এন আমান জানান, ছোটো দ্বীপটি সত্যিই অপূর্ব সুন্দর। মনে হয় সৌন্দর্যের রানি। দ্বীপের চতুর্দিকের স্বচ্ছ জলরাশির ভেতরকার রংবেরংয়ের মাছ, শৈবাল-প্রবাল এবং পাথর দেখলে মন জুড়িয়ে যায়।
সেন্টমার্টিন ইউপির মেম্বার হাবিব রহমান খাঁন জানান, প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ছেঁড়াদ্বীপে আসছে। তবে দ্বীপে টয়লেট এবং চেঞ্জিং রুম না থাকায় পর্যটকদের বেশি সমস্যা হচ্ছে। তিনি পর্যটকদের সুবিধার্থে ছেঁড়াদ্বীপে টয়লেট এবং চেঞ্জিং রুম নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্যটকদের সুবিধার্থে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করা হবে।