তানোর ও গোদাগাড়ী (রাজশাহী) সংবাদদাতা
‘কৃষ্ণকলি’ কালো ধান শোভাবর্ধন করছে গোদাগাড়ী উপজেলার মুকিত দুলালের খেতে। চলতি বছরের শুরুর দিকে তানোর উপজেলার দুবইল গ্রামের বরেন্দ্র বীজ ব্যাংক থেকে ধানটি সংগ্রহ করেন মুকিত দুলাল।
বীজ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত কৃষক মো. ইউসুফ আলী মোল্লা জানান, সরু ও সুগন্ধি ধান ‘কৃষ্ণকলি’। এটি অতি পুরোনো জাতের ধান। ধানটি কালো। ধানের চালও কালো। তার বীজ সংগ্রহশালা থেকে মুকিত দুলাল এক কেজি বীজধান নিয়ে যান। ধান উঠে গেলে আবার এক কেজি বীজধান দিয়ে যাবেন। তার বীজ সংগ্রহশালায় পুরোনো দিনের প্রায় ৩০০ জাতের ধান রয়েছে বলে জানান ঐ কৃষক।
ধান চাষি মুকিত দুলাল বলেন, কৃষ্ণকলি এবার ১০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে ধান কাটা হবে। পাঁচ থেকে ছয় মণ ফলন হতে পারে। তা দিয়ে আগামী বছর কয়েক বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করব। ইতিমধ্যে অনেক কৃষক আমার এই ধান দেখে চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন। তারাও আগামীতে এই ধান চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক কর্মসূচি কর্মকর্তা অমৃত সরকার জানান, পরিবেশবান্ধব কৃষ্ণকলি ধান ক্ষরা সহিষ্ণু, অল্প পানিতে চাষ করা যায়। এটি কালো ধান ও চাল হওয়ায় দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।