শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গন্ধখালী ও সালামতপুর ইউনিয়ন

নদীভাঙনে হুমকিতে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ সড়ক!

আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৪৬

শাহ্ মো. ফারুক হোসেন, মধুখালী (ফরিদপুর) সংবাদদাতা

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে গন্ধখালী ও সালামতপুর (রউফনগর) গ্রাম দুইটি নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। এদিকে রউফনগর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি এখন মধুমতী নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জাদুঘরটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গন্ধখালী গ্রামের মতিয়ার রহমান মোল্যার বাড়ির এলাকায় নতুন করে প্রায় ৫০ মিটার এইচবিবি সড়ক মধুমতী নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। কোনো যানবাহন তো দূরের কথা ভ্যানগাড়িতে নেমে সাবধানে পুরাতন ভাঙনসহ প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা হেঁটে পার হতে হচ্ছে।

কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. লুত্ফর রহমান ও এলাকার কয়েক জন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, এ ব্যাপারে দেখার কেউ নেই। এ বছরের প্রথমদিকে গন্ধখালী গ্রামের আলেম শেখ ও ইউনুস মৃধার বাড়ির এলাকায় পুরাতন ১০০ মিটার নদীভাঙন এলাকায় ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করা হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সবই গেছে মধুমতী নদীতে। তাছাড়া নতুন করে প্রায় আধা কিলোমিটির নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। ঝুঁকিতে আছে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখন এলাকার সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।

কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান বাবু বিশ্বাস বলেন, উপজেলার নদীভাঙন ইউনিয়ন এটি। ইউনিয়নের গন্ধখালী ও সালামতপুর দুটি গ্রাম নদীভাঙনের শিকার। বর্তমান জাদুঘরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত দুই বছরে নদীভাঙন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু কাজ করলেও আবার নতুন করে কিছু এলাকা ভাঙন শুরু হয়েছে। বাড়িঘর ফসলি জমি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পথে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, গতকাল আমরা একটি টিম মধুমতী নদীর ভাঙন এলাকা কামারখালী থেকে আলফাডাঙ্গা পর্যন্ত পরিদর্শন করেছি। মধুমতী নদীর ১৫ কিলোমিটার এলাকা স্থায়ী বাঁধের প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এ কাজটি বাস্তবায়ন হলে মধুমতী নদীতে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।