বেড়েছে পর্যটকের ভিড়
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
অতিথি পাখির বিচরণে মুখর হয়ে উঠেছে বাঁশখালী ইকোপার্ক। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অতিথি পাখির বিচরণের দৃশ্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। তাছাড়া দেশের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু, নয়নাভিরাম দৃশ্য, কৃত্রিম লেক, পাহাড়ের ওপর সুউচ্চ টাওয়ার ও কটেজগুলো যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে এই পার্কে। বাঁশখালীতে অবস্থিত অন্যতম এই পর্যটন স্পটে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে হাজারও পর্যটক এসে ভিড় জমাচ্ছেন। ২০০৩ সাল থেকে এই পার্কের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়, যার মাধ্যমে এই পার্কের সৌন্দর্য ও সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে পর্যটকদের আগমন শুরু হয়। বিশেষ করে শীত মৌসুমে পার্কে পিকনিক করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন। পার্কে সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতের অতিথি পাখিদের বিচরণে এক মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে পুরো পার্ক জুড়ে। চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা কয়েকজন পর্যটক বলেন, এই পার্কটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোর জন্য বেশ উপযোগী একটি স্থান। এখানে অবস্থিত দেশের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু, সুবিশাল কৃত্রিম লেক, সুউচ্চ টাওয়ারগুলো অসাধারণ। বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুজ্জমান শেখ বলেন, পার্কে প্রবেশের সড়কটি অত্যন্ত সরু হওয়ায় বড়ো গাড়ি আসা-যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটি আরো প্রশস্ত করা জরুরি। বাঁশখালী ইকোপার্ক এলাকা স্বচক্ষে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না এর বিশালত্ব সম্পর্কে। তবে এই স্পটটি যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে আরো বেশি উন্নত ও পর্যটন উপযোগী করা প্রয়োজন। তাতে করে সরকার আরো অনেক বেশি রাজস্ব পাবে।