শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে বিপাকে রোগীরা

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২০, ২১:৪৭

রংপুর বিভাগে গত কয়েক দিন ধরে সর্দি ও কাশিতে ভুগছেন অনেক মানুষ। অনেকে বাড়ির পুকুরে নেমে মাছ শিকারের সময় বেশি ঠান্ডা লাগায় এখন সর্দি কাশিতে আক্রান্ত। সোমবার সকালে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন লিটন মিয়া নামের এক ব্যক্তি কিন্তু সর্দি, কাশির কথা শুনে তাকে কোনো সেবা দেননি চিকিত্সকরা। জেলার পীরগাছা থেকে এসে ভর্তি হয়েছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে। সেখানে সাধারণ ওয়ার্ডে তাকে চিকিত্সাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

রমেকের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিনে জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত অন্তত ২০ জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিত্সাসেবা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হারুন-অর-রশিদ নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, হাসপাতালে বর্তমানে চিকিত্সাসেবা দেওয়ার জন্য চিকিত্সক, নার্সদের কোনো সুরক্ষা নেই। সবার মধ্যে করোনা আতঙ্কে এক ধরনের উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা কাজ করছে।  যাদের সমস্যা নেই তাদেরকে ওষুধপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে দাবি করে রংপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের পরিচালক ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রোগীদের চিকিত্সাসেবায় কোনো কমতি হচ্ছে না। বরং করোনা আতঙ্কে কিছু দিন ধরে রোগী ভর্তির চাপ কমে গেছে। রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, যেসব রোগী হাসপাতালে রয়েছে, এরা সাধারণ জ্বর, সর্দির রোগী। করোনা ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।  রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. রুস্তম আলী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালে তীব্র মাস্ক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চিকিত্সক, নার্স ও কর্মচারীরা মারাত্মক উত্কণ্ঠায় পড়েছেন। ঢাকায় স্বাস্থ্য দপ্তরে মাস্কের চাহিদা দিয়েও তা প্রয়োজন মতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই স্থানীয়ভাবে কারুপণ্য থেকে সরবরাহ করা মাস্ক দিয়ে সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে।