শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গোপালপুরে বাঁশের চেকপোস্ট দিয়ে চার গ্রাম লকডাউন

আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২০, ২১:২৮

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা

গোপালপুর উপজেলার চার গ্রামে প্রবেশের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে লকডাউন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। ঝুলানো হয়েছে সাইনবোর্ড। প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি ছাড়া কেউ এসব গ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। সোমবার দুপুরে লকডাউন করা গ্রাম চারটি হলো মির্জাপুর ইউনিয়নের মোহনপুর, মাঝপাড়া, ধুলটিয়া ও নবধুলটিয়া। গ্রামের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে বাঁশের বেড়ার চেকপোস্ট। তাতে পাহারা বসিয়েছে গ্রামবাসী।

ধুলটিয়া গ্রামের হিমেলুর রহমান জানান, তার গ্রামের চেকপোস্টে চব্বিশ ঘণ্টা পাহারা বসানো হয়েছে। পালাক্রমে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া গ্রামবাসী বাইরে যাচ্ছে না। প্রতি বাড়ি থেকে একজন করে জরুরি প্রয়োজনে বাজারে যাবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোনায়েম খান জানান, গ্রামের মানুষ কোনোভাবেই সরকারি বিধিনিষেধ মানছে না। তাই এলাকাবাসী নিজেদের নিরাপদ রাখতে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে।

গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ বিশ্বাস জানান, প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য রাত দিন কাজ করছে। তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না। গ্রামবাসীর এমন কাজ প্রশংসনীয়।

বকশীগঞ্জে সাত বাড়ি লকডাউন

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, বকশীগঞ্জে সাতটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের খা পাড়ার সাত বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ স ম জামশেদ খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, রবিবার বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রতিবেশী শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালের স্টাফ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। একই সময় বকশীগঞ্জ উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের তারেক হোসেনের ছেলে ও হামিদুর রহমানের ছেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শ্রীবরদী হাসপাতালে চিকিত্সা নেন। চিকিত্সাকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই শিশু ও তাদের পরিবারের লোকজন একাধিকবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ঐ স্টাফের সংস্পর্শে আসেন। এ কারণে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন মাঝপাড়া গ্রামের নকিব উদ্দিন খা ও মুজিবুর রহমান খায়ের বাড়িসহ প্রতিবেশী সাতটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়।