মির্জাপুরে শত বছরের বৃদ্ধ বাচ্চু মিয়া ও বৃদ্ধা আলেয়া বেগম ও কিরন বালা দীর্ঘ নয় বছর পর ভোট দিতে পেরে মহাখুশি। এই ভোটই হয়তো তাদের জীবনের শেষ ভোট। তবে এ বছর সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও কোনো ঝামেলা ছাড়াই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত। আলেয়া বেগম ও তার স্বামী বাচ্চু মিয়াকে লাঠিতে ভর করে ভোট দিতে নিয়ে এসেছেন এবং কিরন বালাকে তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী কাঁধে ভর করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। উপজেলার গোড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র ও বাইমহাটি এলাকায় মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে শত বছরের এই তিন ভোটারের সঙ্গে কথা হয়। এই তিন ভোটার জানিয়েছেন, এত সুন্দরভাবে ভোট হবে তা কল্পনাও করতে পারেনি। সব কেন্দ্রেই উত্সবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিলে চোখে পড়ার মতো।
মহাজোটের তথা আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ একাব্বর হোসেন তার নিজ কেন্দ্র পোষ্টকামুরী আলহাজ শফিউদ্দিন মিঞা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এবং ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির (ধানের শীষ) মোঃ আবুুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী তার নিজ কেন্দ্র গোড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এম শামসুজ্জামান জানান, মির্জাপুর পৌরসভা, উপজেলার মহেড়া, জামুর্কি ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাদগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল এই ১৪ ইউনিয়নের ১১৩টি ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবদুল মালেক।
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুরে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ একাব্বর হোসেন(নৌকা), বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী(ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল), খেলাফত মসলিসের প্রার্থী মোঃ মুজিবুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী শাসন আন্দোলনের প্রার্থী মোঃ শাহিনুর ইসলাম (হাতপাখা) এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের প্রার্থী রুপা রায় চৌধুরী(বাঘ)।