শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জলাবদ্ধতার জন্য জমির শ্রেণি পরিবর্তনকে দায়ী করছেন কৃষক

ফুলবাড়ীতে পানির নিচে ৪০০ একর বোরো ধান

আপডেট : ০২ জুন ২০২০, ২১:২১

ফুলবাড়ীতে অপরিকল্পিতভাবে আবাদি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে যত্রতত্র পুকুর খননসহ পানি প্রবাহের মুখ বন্ধ হওয়ায় আম্ফানের প্রভাবে তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে প্রায় ৪০০ একর জমির বোরো ধান গাছ। এতে আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন এক হাজার বোরো চাষি। মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন এবং দৌলতপুর ইউনিয়নে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘোনাপাড়া নামক স্থানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে। এতে উত্তরের জমিগুলো থেকে গড়িয়ে পড়া পানি প্রবাহের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। আম্ফানের প্রভাবে কয়েক ফুট পানির নিচে যাওয়া ধান বাঁচাতে কলার ভেলাসহ ছোটো নৌকা দিয়ে পানির মধ্যেই ধান কাটচ্ছেন কৃষকরা। এতে মজুরি পড়ছে তিনগুণ বেশি। মহদিপুর গ্রামের কৃষক মুশফিকুর রহমান বলেন, ১০ বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অতিরিক্ত ব্যয়ে সাত বিঘা জমির ধান কাটতে পারলেও পানির কারণে তিন বিঘার ধান ফেলে আসতে হচ্ছে। একাধিক কৃষক জানায়, কৃষকরা যেটুকু ধান কাটতে পারছেন, সেগুলোর মধ্যেও অন্তত ৩০ ভাগ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার সড়ক অবরোধসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ টি এম হামীম আশরাফ ও উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মণ্ডল বলেন, পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের আবাদকৃত ৪০০ একর জমির মধ্যেও ১৫০ একর জমির পানি গভীরে তলিয়ে থাকায় সেগুলো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয়ের সহযোগিতায় একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবদ্ধতার সমস্যাটি চিরতরে নিরসন হবে।