৫০ শয্যাবিশিষ্ট কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেটরের অভাবে বিকল হচ্ছে এক্সরে, ইসিজি ও ডিজিটাল আলট্রাসনো মেশিন। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে এসব মেশিন থাকলেও নেই চালানোর অপারেটর। ফলে সরকারি সেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে পাশাপাশি ব্যয়বহুল খরচে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে গিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর যাবত্ ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন আনা হলেও মেশিন পরিচালনার জন্য নেই কোনো অপারেটর। একইভাবে কয়েক বছর যাবত্ এনালগ এক্সরে মেশিন থাকলেও নেই অপারেটর। ইসিজি মেশিনও রয়েছে, সেটিরও কোনো অপারেটর নেই।
হাসপাতালে আসা রোগী আলমগীর হোসেন, রহিমা খাতুন ও শাহজাহান মিয়া বলেন, এখানে ডাক্তার দেখানোর পর যখন এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য লিখে দেওয়া হয় তখন হাসপাতালে এসব পরীক্ষানিরীক্ষা করানো যায় না। বাধ্য হয়ে শহরের প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচে পরীক্ষা করাতে হয়। এটি ৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল অথচ চিকিত্সার জন্য এসব সেবা না পাওয়া মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পদ থাকলেও হাসপাতালে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভুঁইয়া বলেন, এক্সরে, ইসিজি, ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন আছে। তবে টেকনিশিয়ান না থাকায় পরীক্ষানিরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।