শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফুলানো হয়েছে মাতামুহুরী নদীর দুটি রাবার ড্যাম

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২০, ২১:৩৫

সেচ নিয়ে শঙ্কা কাটল কৃষকদের

এম এইচ আরমান চৌধুরী, চকরিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা

কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই এ বছর ফুলানো সম্ভব হয়েছে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর দুই পয়েন্টে স্থাপিত রাবার ড্যাম দুইটি। বৃহস্পতিবার নদীর পালাকাটা রামপুর পয়েন্টের রাবার ড্যামটি ফুলানো কার্যক্রম শেষ হয়েছে। একই দিন শুরু হয়েছে নদীর বাঘগুজারা পয়েন্টের রাবার ড্যামটি ফুলানোর কার্যক্রম। এতে নদীর মিঠাপানি আটকিয়ে সেচ সুবিধা নিয়ে চলতি বোরো মৌসুমে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার একর জমিতে চাষাবাদে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি বছর দুইটি রাবার ড্যামে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ত্রুটির কারণে সমস্যা দেখা দিত। বিশেষ করে চাষাবাদ শুরুর প্রাক্কালে রাবার ড্যাম অকার্যকর হয়ে পড়ার কারণে বিগত কয়েক বছর কৃষকেরা সেচ সুবিধা নিয়ে চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায় ছিলেন।  কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, পূর্বের অস্থায়ী ক্রসবাঁধ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ায় নদীর দুই পয়েন্টেই স্থায়ীভাবে রাবার ড্যাম স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে মাতামুহুরী সেচ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) আওতায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে স্থায়ী রাবার ড্যাম দুইটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেন।

পাউবোর চকরিয়া শাখার সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মো. শাহ আরমান সালমান বলেন, এ বছর কোনো ধরনের মছিবত ছাড়াই ফুলানো সম্ভব হয়েছে নদীর দুই পয়েন্টে স্থাপিত রাবার ড্যাম দুইটি। তিনি বলেন, রামপুর পয়েন্টের রাবার ড্যামটি ফুলানো কার্যক্রম শেষ হয়েছে। একই দিন শুরু হয়েছে বাঘগুজারা পয়েন্টের কাজ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি ফুলানো শেষ হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাছিম হোসেন বলেছেন, যথাসময়ে মাতামুহুরীর দুইটি রাবার ড্যাম ফুলানো সম্ভব হওয়ায় দুই উপজেলার ৬০ হাজার একর জমিতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করতে পারবেন কৃষকেরা। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এ বছর রাবার ড্যাম দুইটি ফুলানোর আগে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। সেজন্য টাইম টু টাইম ড্যামের কেয়ারটেকার আবদুর রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেই। তাতে আমরা সফলও হয়েছি। এ অবস্থায় নিশ্চিত করে বলতি পারি এ বছর আর চাষাবাদে পানি সুবিধা নিয়ে কৃষকদের অনিশ্চয়তায় পড়তে হবে না।