বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সৈয়দপুরে ভিড় বাড়ছে গরম কাপড়ের দোকানে

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২০, ২১:৩৬

শীতের তীব্রতা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা

সৈয়দপুরে ধীরে ধীরে নিচে নামছে তাপমাত্রা। আর শীতের তীব্রতায় উপজেলার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জমে উঠেছে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ শীতবস্ত্রের দোকানগুলো। রেলবাজার, রেলওয়ে গেটবাজার, ডাকঘরের সামনে ও জহুরুল হক সড়কের দুই পাশে বাহারি রঙের এসব শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, কয়েক দিন ধরেই প্রায় সব দোকানে কম-বেশি শীতের কাপড় কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ছোট-বড় জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, টুপি ও মাংকি টুপিসহ সব ধরনের শীতবস্ত্র মিলছে এসব দোকানে। শীতের পোশাক কিনতে আসা উপজেলার কাশিরামের ছালেহা খাতুন বলেন, অনেক খুঁজে ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সবার জন্য সোয়েটারসহ কয়েকটি শীতের কাপড় কিনেছি। নিজের জন্য একটি উলের সোয়েটারও কিনেছি। তবে শীত বেশি পড়ায় দোকানিরা দাম বেশি চাচ্ছে। সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকার জানান, শীতে অভাবি, দরিদ্র ও ছিন্নমূল পরিবারগুলো কষ্ট পাচ্ছে। সরকারিভাবে কিছু কম্বল বরাদ্দ মিলেছে। তা দুই-এক দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

পাইকগাছায় লেপ-তোশকের কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা জানান, পাইকগাছায় শীতের তীব্রতা বাড়ায় লেপ-তোশকের চাহিদা বাড়ছে। আর তাই উপজেলার লেপ-তোশকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

পাইকগাছা পৌর বাজার, নতুন বাজার, কপিলমুনি বাজার, বাঁকা বাজার, আগড়ঘাটা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে অর্ডারি লেপ-তোশকের পাশাপাশি তৈরি লেপ-তোশক সারি সারি সাজিয়ে রেখেছে। পাইকগাছা বেডিংয়ের মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, শীতের শুরুতে ভালোই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে কর্মব্যস্ততা আরো বাড়বে। শীত নিবারণের উপকরণ লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। মিম বেডিংয়ে লেপ কিনতে আসা আব্দুস সালাম জানান, লেপ-তোশকের মূল্য বেশি বলে মনে হয়। তাই বাজারে সস্তায় পাওয়া চায়না কম্বলের দিকে ঝুঁকছে ক্রেতারা। এজন্য অনেকেই শীতে চায়না কম্বল কিনতেই আগ্রহী হচ্ছে। লেপ- তোশকের কারিগর আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিদিন চার/পাঁচটি লেপ তৈরি করা সম্ভব। বাজারে এখন গার্মেন্টসের তুলায় লেপ-তোশক তৈরি হচ্ছে বেশি। শিমুল তুলার দাম বেশি হওয়ায় গার্মেন্টসের তুলায় শীতের উপকরণ তৈরি হচ্ছে।