বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গঙ্গাচড়ায় প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি

আপডেট : ২১ জুন ২০২১, ২০:৫০

গঙ্গাচড়া (রংপুর) সংবাদদাতা

ভারী বর্ষণ ও ঢলে গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় দফায় তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলসহ তীরবর্তী গ্রামে প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার প্রায় ১৫টি চরে বসবাসকারী প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নে বিনবিনা এলাকায়  বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপত্সীমার (৫২.৬০ সেন্টিমিটার) ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চরইচলী, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, চর মটুকপুর ও বিনবিনা এলাকায় প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় বিনবিনা এলাকায় অনেকে গবাদিপশু, বাড়ির আসবাবপত্রসহ রাস্তায় কিংবা উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ইচলি এলাকায় তলিয়ে যাওয়া ধান কাটছেন কৃষক।

পানি বৃদ্ধির কথা নিশ্চিত করে কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু বলেন, ‘কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, উত্তর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা মাঝের চর, সাউদপাড়া ও বাবুরটারী বাঁধেরপাড়, বিনবিনা এলাকায় ১ হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দি।’ লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, ‘তার ইউনিয়নের শংকরদহ, ইচলি, জয়রামওঝা ও বাগেরহাট এলাকায় ৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে পানি এখনো বৃদ্ধির দিকে।’

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া পানি বৃদ্ধির কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুপুরে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপত্সীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে সোমবার বিকালে একটু কমতে শুরু করেছে।’