শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপনে পদ্মায় নাব্য ফেরানোর উদ্যোগ

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০১৯, ২২:০৩

শিগগিরই পরিদর্শনে আসছে ভারতের প্রতিনিধি দল

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

নৌপথে বাণিজ্য বাড়াতে রাজশাহীতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর। নৌবন্দর স্থাপনের জন্য একটি গভীর চ্যানেল তৈরি করতে শিগগির পদ্মা নদী খনন করে নাব্য ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ভারত যৌথ উদ্যোগে এই কাজ বাস্তবায়ন করবে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। শিগগির ভারতের একটি প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শনে আসবে রাজশাহীতে। তবে এর আগেই সরকারি উদ্যোগে পদ্মাপাড়ের ছয় কিলোমিটার জুড়ে শুরু হয়েছে খনন কাজ।

এ ব্যাপারে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাইকান্দি থেকে পাঠানপাড়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকা খনন করা হবে। এতে পদ্মার বুক থেকে উঠবে ২৬ লাখ ঘন মিটার মাটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে একটি আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এজন্য এই খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে নদীর নাব্য আট থেকে ১০ মাস ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজার অপারেশন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম. গোলাম সরওয়ার জানান, তারা শনিবার ড্রেজিং শুরু করেছেন। মধ্য জুন পর্যন্ত রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে ড্রেজিং চলবে। এর মধ্যে যতটুকু খনন করার কথা তা সম্পন্ন করা না গেলে, পরের শুকনো মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান আমলেও রাজশাহীতে নৌবন্দর ছিল। ভারতসহ দেশের বড় বড় জাহাজ মালামাল নিয়ে রাজশাহীতে আসত। জাহাজে করেই ঢাকায় যেত রাজশাহীর মিষ্টি আম। তবে ফারাক্কার বাঁধের পর মরা পদ্মায় এখন বর্ষার তিন মাস ছাড়া সারাবছর বালুচর জেগে থাকে। এ বালু সরিয়ে আবারো সেখানে নৌবন্দর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাট: বাগেরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে সিভিল সার্জন ডা. জি কে এম সামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়। এতে আরো বক্তব্য রাখেন— ডা. প্রদীপ কুমার বকসী, ডা. মুসফিকার সামস, ডা. মশিউর রহমান প্রমুখ।