শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হাজীগঞ্জে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৩৭

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা

হাজীগঞ্জ বাজারসহ ইউনিয়নের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোল, ডিজেল ও মবিলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। সরকারি কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারসহ এসব দাহ্য পদার্থ। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। অথচ গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ বিক্রিতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক। হাজীগঞ্জ বাজারসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মেইন রাস্তার পাশে, মুদি দোকান, হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানেটারি দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে, বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার। এছাড়াও বিভিন্ন দোকানে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বাজারে লিটার হিসেবে বিশেষ করে দুই লিটার, এক লিটার অথবা আধা লিটারসহ বিভিন্ন ওজনের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল, ডিজেল ও মবিলে পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এসব দোকান থেকে যে কেউ ইচ্ছা করলেই গ্যাস সিলিন্ডার ও বোতলভর্তি এসব দাহ্য পদার্থ কিনতে পারেন। গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থের এ সহজলভ্যতা এবং অবাধে বিক্রির ফলে আজকাল সিএনজিচালিত স্কুটারেও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।

সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল, ডিজেল ও মবিলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা-পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে।

একজন ব্যবসায়ী ওইসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিস্ফোরক দ্রব্য বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বা দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। অথচ হাজীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারসহ দাহ্য পদার্থ।

হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং সামাজিক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম চুননু বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকা দরকার। নজরদারি না থাকার কারণে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ বিক্রি। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজীগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, চার/পাঁচ বছর পূর্বে হাজীগঞ্জ পশ্চিমবাজারস্থ কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থের দোকানে আগুন লাগে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সিনিয়র লিডার মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত দু’বছর ধরে আমাদের এখানে সিনিয়র স্টেশন অফিসারের পদটি শূন্য রয়েছে। তারপরও আমরা যথাযথ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। অবৈধভাবে বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।