দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের মানুষ
খান মোহাম্মদ খালেদ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সুন্না বাজারের পাশে বংশাই নদীর ওপর কোনো সেতু নেই। একটি বাঁশের সাঁকো এই দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। বর্ষা মৌসুমে তাও পানিতে ডুবে যায়।
তখন নৌকা ছাড়া পারাপারের আর কোনো উপায় থাকে না। চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় দুই উপজেলার ১৫টি গ্রামের মানুষের। অনেক মানুষ যাতায়াত করেন অনেক ঘুরাপথে দীর্ঘ সময় ব্যয়ে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে।
এলাকাবাসী জানান, সুন্না বাজারের পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ বাসাইল-সখীপুরের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। এছাড়া সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর, যাদবপুর, বেড়বাড়ী, দেওবাড়ি, লাঙ্গুলিয়া, চাকলাপাড়া, সিলিমপুর, কালিয়ান এবং বাসাইল উপজেলার সুন্না, গিলাবাড়ী, কাউলজানি, মান্দারজানিসহ আশপাশের গ্রামের মানুষজনকে এখান দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। রোগী নিয়ে এই সাঁকো পার হতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্বজনদের। বাসাইল উপজেলার সুন্না সম্মিলিত আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি ডুবে যায়। মোটরসাইকেল এপারে রেখে ওপারে যেতে হয়। দুই উপজেলার প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ এখান দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু এখানে আজো কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। বাঁশের সাঁকো আর খেয়া মানুষের ভরসা। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। এখানে সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষের যাতায়াতসহ ভাগ্যেরও পরিবর্তন হবে বলে তারা আশা করেন।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, সুন্না বাজারের পাশে নদীতে সেতু না থাকায় সত্যি জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেখানে যত দ্রুত সম্ভব সেতু নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, সুন্নায় বংশাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করা যায়, আগামী অর্থবছরেই সেতু নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে।