শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ২২:০২

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কবলে পাকা বেড়িবাঁধ ও বসতবাড়ি। কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলার বন্দবেড়, চরশৌলমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত গ্রামগুলোতে নদের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাড় বামতীরে অবস্থিত দুই কিলোমিটার পাকা বেড়িবাঁধ রাস্তা, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মসজিদ ঘরসহ বাগুয়ারচর গ্রামটি বসবাসরত দুই হাজার পরিবার ভাঙনে বিলীনের পথে। এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। এছাড়াও আসছে বন্যা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের কবলে পড়বে রৌমারী উপজেলার আরো প্রায় ২০টি গ্রাম সাহেবেরআলগা, গেন্দার আলগা, চরসোনাপুর, ঘুঘুমারী, উত্তর খেদাইমারী, পাখিউড়া, জামাইপাড়া, বাগুয়ারচর পয়েচিপাড়া, বাগুয়ারচর, বাইটকামারী, পশ্চিম খনজনমারা, খনজনমারা, বাইশপাড়া, পশ্চিম কুঠিরচর, কুঠিরচর খানপাড়া, চরবাঘমারা, চর বন্দবেড়, ধনারচর, দিগলাপাড়া, ধনারচর নতুন গ্রাম।

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কাঁচা-পাকা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বাগুয়ারচর গ্রামে মো. আবু হাফিজ ও শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, আসছে বন্যার আগেই বাগুয়ারচর গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উত্তর বাগুয়ারচর হতে বাইশপাড়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংরক্ষণ করা জরুরি। এ কাজ না করলে একমাসের মধ্যেই পাকা রাস্তাসহ পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

রৌমারী নদী ভাঙন প্রতিরোধ আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সিএসডিকে এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মো. আবু হানিফ মাস্টার বলেন, আসছে বন্যার মৌসুমের আগেই বাগুয়ারচর গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড  জিও ব্যাগ দিয়ে তীর সংরক্ষণের বরাদ্দ দিয়েছে তা অর্ধ কিলোমিটার হবে না। এ বরাদ্দ বৃদ্ধি করে দুই কিলোমিটার জুড়ে জিও ব্যাগ দিয়ে তীর সংরক্ষণ করলে এলাকা রক্ষা পাবে। এছাড়াও রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারী হতে বলদমারা ফুলুয়ারচর হয়ে রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত তীর সংরক্ষণের জন্য ৪৭৯.২৩কোটি টাকার প্রকল্প একনেকের সভায় অনুমোদন হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে দুই উপজেলার মানুষ নদের ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কুড়িগ্রাম প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বাগুয়ারচর গ্রাম রক্ষায় আমরা দুই কিলোমিটার জিও ব্যাগ দিয়ে তীর সংরক্ষণের প্রস্তাব প্রেরণ করেছিলাম। আংশিক বরাদ্দ দিয়েছে, কাজ শুরু হলে বরাদ্দ সম্প্রসারণ হবে।