মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কেশবপুরে আট মাসেও চূড়ান্ত হয়নি ভিজিডি কার্ডের তালিকা!

আপডেট : ১৯ মে ২০১৯, ২১:৪০

কেশবপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের দ্বন্দ্বে গত ৮ মাসেও চূড়ান্ত হয়নি দুস্থদের ২ হাজার ৫৮৩টি ভিজিডি কার্ডের তালিকা। ফলে বিতরণের অভাবে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত চার মাসের প্রায় ৩১০ মেট্রিক টন চাল খাদ্যগুদামেই পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে, গত ৯ মে উপজেলা খাদ্য বিভাগ ঘটা করে এক হাজার ৪৯৬ টন বোরো চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করলেও জায়গার অভাবে সংগ্রহ অভিযান ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।  

পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল অভিযোগ করে বলেন, ‘যথাসময়ে তালিকা চূড়ান্ত করে উপজেলা ভিজিডি কমিটির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। ৫ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আজো দুস্থদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। ফলে গত জানুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৪ মাসে দুস্থদের ৩০৯ দশমিক ৯৬০ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন ও বিতরণের অভাবে খাদ্যগুদামেই পড়ে রয়েছে।’

মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জনগণের ভোটেই আমরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি। প্রতিদিন অসহায় দুস্থরা এ কার্ড পাওয়ার আশায় তাদের কার্যালয়ে ধরনা দিচ্ছে।’

উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, গত ৯ মে এ উপজেলায় ১ হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। গত ১৬ মে পর্যন্ত মাত্র ৬০ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হয়েছে। খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে চাল সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এরপরও চলতি মে মাসে দুস্থদের আরো ৭৭ হাজার ৪৯০ কেজিসহ মোট ৩৮৭ মেট্রিক টন চাল খাদ্যগুদামে জমা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। 

উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগীর তালিকা ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটে প্রভাব পড়তে পারে বলে সারাদেশের অধিকাংশ উপজেলার মতো কেশবপুরেও এ কার্যক্রম স্থগিত ছিল। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ভিজিডি কার্ড তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। যারা তালিকাভুক্ত হবেন তারা ঈদের আগেই চাল পাবেন।’