শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যমুনার হার্ডপয়েন্টে মহিষের বাথান!

আপডেট : ২৬ জুন ২০১৯, ২২:০৭

বগুড়া অফিস

বগুড়ার সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া হার্ডপয়েন্টে মহিষের বাথান নিয়ে সাত মাস ধরে অবস্থান করছেন গোপাল ঘোষ। সারাদিন যমুনার বিভিন্ন চরে ঘাসের জমিতে চড়িয়ে মহিষগুলো সন্ধ্যায় নদী সাঁতরে হার্ডপয়েন্টে এসে আশ্রয় নেয়। সারারাত থাকে এখানেই।

গাবতলী উপজেলার দুর্ঘাহাটা গ্রামের গোপাল ঘোষের বাথানে ছোট বড় মিলিয়ে মহিষ রয়েছে ৪৮টি। যমুনার অবারিত চরে পর্যাপ্ত ঘাস থাকায় বাথান নিয়ে এখানে আসেন। চরে প্রচুর ঘাস থাকলেও মহিষের খাওয়ার জন্য প্রতিদিন জমির মালিদের কাছ থেকে ৪/৫ হাজার টাকায় ঘাসের জমি কিনতে হয়। আবার সন্ধ্যায় ৫/৬ হাজার টাকার ভুসি, খইল ও গুরা খাওয়াতে হয়।

গোপাল ঘোষ জানান, তার বাথানের ৪৮টি মহিষের মধ্যে এখন ১৮টি দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন একবেলা দহনে ৭৫/৮০ কেজি করে দুধ হচ্ছে। ওই দুধ বাথান থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বেপারিরা। তিনি আরো জানান, বাচ্চা দেওয়ার পর একটি মহিষ ৮/৯ মাস এবং গর্ভবতী হওয়ার পর ৬/৭ মাস দুধ দেয়। তিনি ছাড়া বাথান দেখভাল করার জন্য একজন রাখাল রয়েছে। তাকে মাসে ৯/১০ হাজার টাকা বেতন দিতে হয়। মহিষের একটি বাছুর ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। বাথানের সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে তার ৬০/৭০ হাজার টাকা আয় হয় বলে জানান গোপাল ঘোষ। বন্যা আসার আগ পর্যন্ত মহিষের বাথান হার্ডপয়েন্টেই থাকবে বলে তিনি জানান।