বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না বিক্রেতারা

আপডেট : ১০ আগস্ট ২০১৯, ২০:৫২

ঈদুল আজহা উদযাপনের আর একদিন বাকি। বিভিন্ন স্থানে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।

ঝিনাইদহ :এবার কোরবানির বাজার ধরতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় গোয়ালে ও খামারে ৭ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ গরু-ছাগল মোটাতাজা করা হয়েছে। পশুর হাটগুলোতে প্রচুর গরু উঠছে। দাম গত বছরের চেয়ে কম বলে খামারিরা জানান। তবে ছাগলের দাম চড়া। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদ আহমেদ খান জানান, এ বিভাগে ছোটো-বড়ো এক লাখ ৩৯ হাজার ৫৩৯টি খামার আছে। উপ-পরিচালক আরো জানান, খুলনা বিভাগে গরুর মোট চাহিদা ধরা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার। উদ্বৃত্ত থাকবে এক লাখ ৫০ হাজার ৮’শ। উর্বৃত্ত গরু দেশের ঢাকা চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

নরসিংদী:নরসিংদীর ৬টি উপজেলায় মোট ৭৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন। এসব পশুর হাটের মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১১টি, পলাশ উপজেলায় ৮টি, শিবপুর উপজেলায় ১৪টি, মনোহরদীতে ৯টি, বেলাবতে ৬টি ও রায়পুরা উপজেলায় ৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। পশুরহাটগুলোতে প্রচুর গরু-মহিষ, ছাগল- ভেড়া আমদানি হয়েছে। তবে এবার গবাদি পশুর দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা কম। নরসিংদী শহরের ষ্টেশন রোড সংলগ্ন টি. হোসেন মার্কেটে অস্থায়ীভাবে গরুর হাট বসানো হয়েছে।

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : এনায়েতপুর পশুর হাটে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে বিক্রেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। তবে ক্রেতারা গরু-ছাগল সহনশীল দামে কিনতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। শুক্রবার বিকেলে জেলার সবচেয়ে বড় এ পশুর হাট সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, বিশাল হাট জুড়ে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক গরু-ছাগল বিক্রির জন্য খামারিরা নিয়ে এসেছে। জেলার চৌহালী, বেলকুচি, কামারখন্দ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর এবং পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া হতে আসা এসব বিক্রেতাদের পাশাপাশি ক্রেতাদের পদভারে মুখরিত এলাকা।

স্বরূপকাঠি (পিরোজপুর) : জমে উঠছে স্বরূপকাঠির চারটি কোরবানির পশুর হাট। পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে হাটগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় পশুর হাটগুলো সরগরম। সুটিয়াকাঠি গোহাটে ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ হলে তারা জানান, গতবারের তুলনায় এবছর গরুর দাম বেশি। অপরদিকে একাধিক গরু ব্যবসায়ী জানান, লালন-পালনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই মূলত গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই-তিন দিনে গরু বিক্রি একেবারে কম হলেও শনিবার থেকে বিক্রি বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

মিঠাপুকুর (রংপুর) : উপজেলার ১৫টিরও বেশিস্থানে বসেছে গরুর হাট। হাটে গরু উঠেছে প্রচুর পরিমাণে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কয়েকটি হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সরেজমিনে শঠিবাড়ী হাট, শুকুরের হাট, রানীপুকুর, বৈরাতী হাট, জায়গীর হাট, বালুয়া হাটসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, এবার দেশীয় গরুতেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। তবে, গতবারের চেয়ে দাম একটু বেশি। শুকুরের হাট পশুর হাটে গিয়ে কথা হয় গরু ব্যবসায়ী মোন্নাফ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, হাটে শান্তিপূর্ণভাবে গরু, ছাগল বেচাকেনা হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে গত দুই দিন ক্রেতাদের উপস্থিতি কম ছিল।

মীর্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : প্রতিটি হাটে পর্যাপ্ত পশু আছে। দামও সাধ্যের মধ্যে আছে বলে জানান ক্রেতারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজারগুলোতে বেচাকেনার ধুম চলছে। বাজারে দেশি পশুর চাহিদাই বেশি। আর বাজারগুলোতে ব্যাপক পশু থাকায় দামটাও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে একাধিক ক্রেতা জানান। উপজেলার যে কয়টি বড় পশুর হাট রয়েছে তার মধ্যে উপজেলা সদরের সুবিদখালী, চৈতা, মহিষকাটা, দেউলী ও মনোহরখালীসহ সবগুলো পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি ও বিক্রি বেশ ভালো।

ছাগলনাইয়া (ফেনী) :তবে বাজারে দাম বেশি হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। ছাগলনাইয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আফছার জানান, ছাগলনাইয়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে খামারি ও গৃহস্থরা ২২ হাজার পশু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে ছাগল ও ভেড়া রয়েছে প্রায় ১১ হাজার। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে চারটি মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে। ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পূর্বদেবপুর গ্রামের খামারি একরামুল হক পাটোয়ারী জানান, বাজারে বড় গরুর ক্রেতা নেই। দেশীয় ছোট গরু ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে।