বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পীরগাছায় বন্যায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৯, ২০:৫৮

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুই দফায় বন্যার পানিতে ডুবে পীরগাছা উপজেলায় রোপণকৃত আউশ ধান ও আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। আমন চারার তীব্র সংকটের কারণে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এতে বেশির ভাগ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। দুই দফায় বন্যায় সদ্য রোপণকৃত আউশ ধানের চারা ও আমন বীজতলা ১০ থেকে ১৫ দিন পানির নিচে ডুবে থাকে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপজেলার তাম্বুলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নের কৃষকরা। বন্যায় বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতির চেয়েও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কৃষক ফজলুর রহমান জানান, ১০ থেকে ১৫ দিন আমনের বীজতলা পানির নিচে ডুবে থাকায় সবগুলো ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন হন্যে হয়ে খুঁজেও আমন ধানের চারা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারিভাবে কৃষকদের সহযোগিতা করা না হলে শুধু কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না সেই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন, বন্যায় আউশ খেত, আমনের বীজতলা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ ও লাউসহ সবজি খেত বিনষ্ট হওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বন্যা শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও পীরগাছায় উপজেলা কৃষি বিভাগ এখনো প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে পারেনি।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে। তবে বেশি ক্ষয়ক্ষতি দেখানোও আমাদের জন্য সমস্যা।

উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিব বলেন, এবারের বন্যায় ৩ হাজার ২০০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০০ জন কৃষকের মাঝে পাঁচ কেজি করে আমন বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কৃষকরা নতুনভাবে বীজতলা তৈরি করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে।