একটুখানি বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি। আর নর্দমার পানি উপচে একাকার অবস্থা। এটি সৈয়দপুর শহরের সাবোর্ডিনেট কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। শনিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির আশপাশে রেলওয়ের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ বস্তি। বস্তিবাসীর পয়ঃনিষ্কাশনের পানি উপচে পড়ে স্কুলটির মাঠে প্রবেশ করছে। এর ফলে পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। বিদ্যালয়টির পেছনটা আস্তাকুঁড় বানিয়েছে বস্তির বাসিন্দারা। এর মাঝে বেড়ে উঠছে ঝোপ-জঙ্গল। যেখানে মশার অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছে। ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে বিষধর সাপও দেখা যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলি সুলতানা জানান, আমি এই স্কুলে নতুন এসেছি। এখানকার পরিবেশ সত্যি অস্বাস্থ্যকর। বৃষ্টি ও নর্দমার পানি জমে একাকার হচ্ছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। মাঝে-মধ্যে বিষধর সাপের আনাগোনা দেখা যায়। এনিয়ে উদ্বেগ,উত্কণ্ঠায় আছি আমরা। বিষয়টি বেশ কয়েকবার স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই বিষয়টি লিখিতভাবে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়রকে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
স্কুলের শিক্ষার্থী মিঠু, সাহানা, ববি জানায়, সাপ নিয়ে খুব ভয়ে আছি আমরা। আর নোংরা গন্ধে লেখাপড়া চালিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। অভিভাবক শাহানা বানু জানান, সন্তানকে ভয়ে ভয়ে স্কুলে পাঠাই। এখন কি হবে জানি না। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনসুর আলী জানান, এই স্কুল অনেকেই বের হয়ে বরেণ্য হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ, বিনোদন পাক্ষিক আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের মোখছেদুল মোমিন অন্যতম। অথচ এই বিদ্যালয়টির এই অবর্ণনীয় হাল।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান মণ্ডল জানান, আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করে দিব। আপাতত মাঠ ভরাট করার কাজটি করা হবে।