চিতলমারী (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
সোনালি আঁশখ্যাত পাট চাষে সুদিন ফিরে এসেছে। অনেকেই এখন এটি চাষ করে ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন। ন্যায্যমূল্য পেলে আগামীতে আরো ব্যাপকভাবে পাট চাষ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চাষিরা। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মধুমতি ও বলেশ্বর নদীর বিস্তীর্ণ চর ও বিভিন্ন জমিতে এ বছর ব্যাপকভাবে পাট চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে এসব জমির পাট কাটা শুরু হয়েছে। এলাকায় মহা ধুমধামে চলছে পাট কাটা ও প্রক্রিয়াজাতের কাজ।
গত কয়েক বছর ধরে সবজি ও ধান চাষ করে লোকসান হওয়ায় এটি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। যার কারণে অনেকেই আগ্রহের সঙ্গে পাট চাষ করছেন।
উপজেলার কুড়ালতলা গ্রামের ননী গোপাল মণ্ডল জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। এ বছর পাটের গাছও খুব ভালো হয়েছে। বর্তমানে এসব পাট কেটে পানিতে জাগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর প্রক্রিয়া জাতের মাধ্যমে এসব পাটের আঁশ তুলে শুকনোর পর বিক্রির জন্য বাজারে তোলা হবে। এছাড়া খড়মখালী গ্রামের সুশীল মণ্ডল দুই বিঘা, রেপতী মণ্ডল ১০ কাঠা, গুরুদাস মণ্ডল দুই বিঘা ও সুধাংশু মণ্ডল দুই বিঘাসহ শত শত চাষি জমিতে পাট চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর পাটের বাজারদর খুবই ভালো আছে। প্রতি মণ পাট ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেটি অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। এছাড়া পাটের চেয়ে এর খড়ি থেকে একটা বড়ো ধরনের লাভের টাকা ঘরে আসে চাষিদের।