শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টেকনাফে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৫০

জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা

কক্সবাজারের টেকনাফে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে আগাম সবজি চাষিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে হতাশা দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে। কৃষি বিভাগ এখনো ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করতে না পারলেও কৃষকের প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

উপজেলার হোয়াইক্যং রইক্ষ্যং এলাকার কৃষক আব্দুল জাব্বার, ফজল কাদের ও আব্দুল বাহাদুর জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে এলাকায় ১৫ হেক্টর বা ৩৭০৫ শতক জমির মুলা ও ১০ হেক্টর বা ২৪৭০ শতক জমির বরবটির খেত নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষানি সকিনা খাতুন জানান, অতিরিক্ত লাভের আশায় ৪০ শতক জমিতে আগাম মুলা চাষ করে বৃষ্টির কারণে তার মুলা চাষ একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষানি রাজিয়া বেগম জানান, পাড়া প্রতিবেশীদের দেখাদেখিতে ভালো আয়ের আশায় ৮০ শতক জমিতে মুলা এবং বরবটি চাষ করে ভারীবর্ষণে পুরো খেত নষ্ট হয়ে গেছে। রইক্ষ্যং এলাকার আব্দুল জাব্বার, আবছার, জাফর আলম, খলিল আহমদ, বদি আলম, ইব্রাহীম ও জুহুরা খাতুনসহ শত শত চাষি গেল ভারীবর্ষণের কারণে আগাম সবজির খেত করে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। 

স্থানীয় কীটনাশক ও খুচরা সার বিক্রেতা মো. ছিদ্দিক জানান, কয়েক দিনের ভারীবর্ষণে রইক্ষ্যং এলাকার ১৫ হেক্টরের বেশি মুলা, ১০ হেক্টর বরবটি ও ৫ হেক্টর শসার খেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা ২ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ার ভারীবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ও বিনা সুধে ঋণ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। 

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, বৃষ্টিতে ফসলের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করতে পারিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অতিবৃষ্টিতে টেকনাফে আমন ধানের জন্য ভালো হলেও পাতা জাতীয় সবজির জন্য বেশ ক্ষতি হয়েছে। এতে আগাম সবজি চাষিরা বড়ো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।