শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভ্রাম্যমাণ ফিলিং স্টেশন!

আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ২১:১০

দুর্ঘটনার আশঙ্কা

রাণীনগর (নওগাঁ) ও আদমদিঘী সংবাদদাতা

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শেষ সীমানা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের আশপাশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘটতে পারে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা।

যে কোনো স্থানের পানের দোকান থেকে শুরু করে ছোটোখাটো ঝুপড়ি দোকানেও যত্রতত্রভাবে পাওয়া যাচ্ছে এলপি গ্যাস। কিন্তু সরকারি বিধিমোতাবেক ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক অনুমোদন ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো দোকানদারই এই এলপি গ্যাস দোকানে রেখে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন না। কিন্তু এসব গ্যাসের সিলিন্ডারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে যে কোনো সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘটতে পারে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা।

দেখা গেছে, ঠিক একইভাবে কতিপয় ব্যক্তি জোড়াতালি দেওয়া ট্রাকে করে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে সিএনজি অটোরিকশাগুলোতে চোরাইভাবে কোনো প্রকারের অনুমতি ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ করছে। নওগাঁ-রাণীনগর-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়বে ট্রাক থেকে সিএনজিতে গ্যাস সরবরাহের চিত্র।

স্থানীয়রা জানান, মোট তিনটি জোড়াতালি দেওয়া লক্কড়-ঝক্কড় ট্রাকে করে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা রোড, তার আশপাশের বিভিন্ন স্থানে, নওগাঁ-রাণীনগর-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন গোপন স্থানে ও সান্তাহার শহরের বিভিন্ন সুবিধাপূর্ণ রাস্তার গোপন স্থানে ভ্রাম্যমাণ অবস্থায়, অবৈধভাবে সিএনজিগুলোতে এই গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনগুলো যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমিও বিষয়টি শুনেছি। আসলে অনেকেই অনেক ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে এই সব অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। আমি অবশ্যই আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করব।’