কাপ্তাই-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের কলাবাগান অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গণযাতায়াত ও যান চলাচলের সতর্কতার জন্য স্থানীয়দের পক্ষ থেকে সড়কে পুঁতে দেওয়া হয়েছে লাল পতাকা।
সড়কটির একেবারে পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পাহাড়ি ছড়া। তবে এই পাহাড়ি ছড়াটি সড়কের পাশে হলেও এর অবস্থান গভীর খাদে। গভীর পাহাড়ি ছড়ার খাদের পাশে হওয়ায় সড়কটি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ, তার ওপর সড়কের মাঝ বরাবর ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকি আরো বেড়েছে। বর্তমানে যানবাহন চলাচলে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিরনজিত তনচংগ্যা জানান, কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের যে অংশে বর্তমানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে সেটি মহাসড়ক হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। এই সড়কের ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটির সকল প্রকার যানবাহনও নিয়মিত চলাচল করছে। সড়কের পাশে অবস্থিত পাহাড়ি ছড়ায় বর্ষায় প্রবলবেগে পানি প্রবাহিত হয়। আর পানির তোড়েই সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়কটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না গেলে ভবিষ্যতে আরো বড়ো বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের একেবারে পাশ দিয়েই বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি ছড়া। ছড়ার পাশে অবস্থিত হবার কারণে সড়কটি এমনিতেই ঝুঁকির মধ্যে ছিল। কিন্তু বর্তমানে সড়কের ওপর ফাটল দেখা দেওয়ায় ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় উবাথোয়াই মারমা জানান, কয়েকদিন আগে সড়কের ফাটল দেখা দেওয়া অংশে লাল পতাকা বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে কিছু ইট এনে রাখা হয়। এরপর আর কোনো কাজ হয়নি। সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন বলেও স্থানীয়রা জানান।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংগ্রু মারমা বলেন, ‘ভাঙন কবলিত সড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। ভারী যান চলাচলের সময় সড়কে কম্পন সৃষ্টি হয়। ঐ কম্পন সড়কের জন্য আরো ক্ষতিকর। সড়কটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার করা না গেলে এবং সড়ক ধসে পড়লে রাঙ্গামাটির সঙ্গে চট্টগ্রাম, কাপ্তাই, বান্দরবান, রাজস্থলির যোগাযোগ বন্ধ হতে পারে। তখন সড়ক সংস্কারে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে।’
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্থানীয় প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন জানান, বর্তমানে সড়কটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অতিদ্রুত সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশা করি।