শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাণীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে তিন ডাক্তার দিয়ে

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০১৯, ২১:০২

চালু হয়নি নতুন ভবন

আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে তিন জন চিকিত্সক দিয়ে। এছাড়া আধুনিক ও মানসম্মত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন ভবন পূর্ণাঙ্গভাবে চালু না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিত্সা সেবা।

জানা গেছে, চিকিত্সক সংকটে ভুগছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। বর্তমানে এখানে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র তিন জন মেডিক্যাল কর্মকর্তা। এছাড়াও নিয়মানুসারে এখানে ১১ জন চিকিত্সক থাকার কথা। দীর্ঘদিন যাবত্ ফাঁকা রয়েছে একজন বিশেষজ্ঞ, একজন সার্জন, একজন গাইনি ও একজন মেডিসিন চিকিত্সকের পদ। তিন জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর স্থানে রয়েছে একজন। এছাড়াও আশির দশকে নির্মাণ করা আবাসিক ভবনগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। এরই মধ্যে ডরমেটরি বন্ধ হওয়াসহ পাঁচটি আবাসিক ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে অনেক বছর আগে। অপরদিকে নতুন ভবন নির্মাণের মধ্যদিয়ে ২০১২ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু আজও ৫০ শয্যা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু না হওয়ায় রোগীদের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে উপজেলা সদরের পশ্চিম বালুভরা মৌজায় ৬.২৫ একর জমি সরকার ক্রয় করে প্রথমে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষ্যে ১৯ শয্যাবিশিষ্ট তিন তলা ভবন নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। এরপর হস্তান্তর হলেও ঐ ওয়ার্ডের জন্য চিকিত্সক, জনবল, ওষুধ, রোগীদের খাদ্যসহ অন্যান্য উপকরণ সংকটের কারণে সাত বছর ধরে নির্দিষ্ট বরাদ্দ না পাওয়ায় অত্যাধুনিক ভবনের কার্যক্রম চালু হচ্ছে না বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এইচ এম ইফতেখারুল আলম খান বলেন, ‘এখানে আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মানুষ চিকিত্সা সেবা নিতে আসেন। চিকিত্সক সংকট থাকার কারণে আমি নিজেও রোগী দেখি। কিন্তু বর্তমানে চিকিত্সক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়াও অন্যান্য সংকট ও সমস্যা তো রয়েছে। অবকাঠামোগত সমস্যা থাকায় ১৯ শয্যার ঐ ভবনটি চালু করা যাচ্ছে না। তারপরও রাণীনগরবাসীর যথাযথ চিকিত্সা দিতে আমাদের পেশাদারিত্বের কোনো ত্রুটি নেই। প্রয়োজনীয় অসুবিধাগুলো সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে।’

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন, ‘হাসপাতালটি বর্তমানে আগের অবস্থা থেকে অনেকটাই উন্নতির দিকে। আমি এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিত্সক, জনবলসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করে অতিদ্রুত ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। এছাড়াও আধুনিকমানের সেবা যাতে উপজেলার মানুষরা এই হাসপাতাল থেকে পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আশা রাখি অতিদ্রুত এই কার্যক্রমগুলো এখানে চালু করা হবে।