শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে

আপডেট : ৩০ মে ২০১৯, ১৯:৫২

ঈদ আমাদের এক অলৌকিক আনন্দে ভাসিয়ে দেবে! পবিত্র রমজানের প্রথম দিন থেকে আমরা তেমন এক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঈদ-উল-ফিতরের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। পুরো এক মাস চলে সংযম, তারপর ঈদ। এর মধ্যে প্রাত্যহিকতা আমাদের বহুরকমের অভিজ্ঞতা দিয়ে সে দিনটির প্রতি আকাঙ্ক্ষা আরো তীব্রতর করে তোলে। এ হলো আমাদের পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা। উন্নয়নের যে মহাযজ্ঞ, তা আমাদের ভেতর এক স্বপ্নগাথা রচনা করে যাচ্ছে। আমরা প্রতিদিন আরো বেশি আশাবাদী হয়ে উঠছি। এই উন্নয়নযাত্রা আমাদের আশাবাদী করে তুলছে, আবার লোভীও করে তুলছে অনেক সময়! বিরাট বিরাট প্রকল্পে হঠাত্ এমন একজন অসত্ মানুষের চেহারা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে যে, তার অসততা আমাদের ভিত কাঁপিয়ে দেয়। আমরা যেটুকু আশাবাদী হয়ে উঠি, ততটুকু অন্ধকারে পড়ে যাই। একইসঙ্গে আরেকটা ব্যাপার আমাদের প্রবলভাবে আশাহত করে। দেখতে পাই সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা জেঁকে বসেছে। প্রশাসন হয়তো চেষ্টা করে যাচ্ছে, তারপরও খাবারে ভেজাল, সড়কে অনিয়ম, মুখ থুবড়ে পড়ছে নৈতিকতা। এসব কিছুর সমাধান কেবল আইন দিয়ে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন নৈতিক দৃঢ়তা। নিজেদের বোধ তৈরি হওয়া। পারস্পরিক সম্মান। এই রমজানে এরকম প্রকৃত সংযম, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা যদি জাগ্রত হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে নৈতিক উন্নয়নও সম্ভব।

ইত্তেফাক পরিবার প্রতি বছর ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে। আকারে এবং বিষয়বৈচিত্র্যে আলাদা একটি সংখ্যা উপহার দেওয়ার চেষ্টা থাকে আমাদের। এবারও তেমনি আয়োজন নিয়ে পাঠকের সামনে হাজির হচ্ছি। এবারের সংখ্যায় উপন্যাসই মূল আকর্ষণ। দেশের প্রধান প্রধান ঔপন্যাসিকের নতুন সব উপন্যাস রয়েছে; সঙ্গে গল্প এবং বহুরকম রচনার সন্নিবেশে ৫১২ পৃষ্ঠার বিরাট আয়োজন আশা করি পাঠকের ভালো লাগবে। রমজান শেষে ঈদের যে অফুরান ছুটি, সে সময়টুকু এই সংখ্যার নানা লেখা পাঠে যদি পাঠক আনন্দবোধ করেন, তাহলে আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক।

ঈদসংখ্যার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, ইত্তেফাক-এর পাঠক শুভানুধ্যায়ী সবার প্রতিই আমাদের কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে। সবাইকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা।

ঈদ মোবারক।

 

তাসমিমা হোসেন

সম্পাদক

দৈনিক ইত্তেফাক