শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বছরের শেষটা এত আনন্দে যাবে ভাবতে পারিনি

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৪৭

 ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও রুনা লায়লার সুরে ‘গল্প কথার ওই কল্পলোকে জানি’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেন আঁখি আলমগীর। আর এই গানটির জন্য ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন আঁখি আলমগীর। ক্যারিয়ার ২৫ বছর পর এমন স্বীকৃতি পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এই সংগীতশিল্পী। তার অনুভূতি কথাগুলোর পাশাপাশি সম্প্রতি ব্যস্ততা প্রসঙ্গে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু

গানের জন্য প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন। আপনার ভালোলাগার কথাগুলো শুনতে চাই—

এই অন্যরকম এক ভালোলাগা। এর আগে ‘ভাত দে’ সিনেমার জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। তখন তো ছোট ছিলাম। আনন্দটা সেভাবে উপভোগ করতে পারিনি। কিন্তু এখন তো আমি এর মর্যাদা বুঝি। আমার সংগীত জীবনের ২৫ বছর পর আমি এই পুরস্কার পেলাম। আমার আশেপাশে সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কিছুদিন আগে কলকাতার একটি কনসার্টেও সম্মাননা পেলাম। সেখানে কুমার শানু ছিল। তার কয়েকদিন পরই এই খবর। বছরের শেষটা এতটা আনন্দে যাবে ভাবিনি।

 

গানটা করার পর গানটি কোনো স্বীকৃতি এনে দিতে পারে এমনটা ভেবেছিলেন কি-না?

আসলে পুরস্কারের বিষয় তো মাথায় থাকে না। তবে একটি বিষয় বলতে চাই। গানটি আমাদের কিংবদন্তী শিল্পী রুনা লায়লার সুর করা। তিনি কতটুকু পারফেকশনিস্ট সেটি নতুন করে বলার কিছু নেই। গানটি যেদিন রেকর্ড হয় সেদিন তিনি আমাকে বলেন, ‘এই গানটির জন্য তুমি একটি পুরস্কার প্রাপ্য।’ আমি ভেবেছিলাম এটি আমাকে সাহস জোগানের জন্য। কিন্তু সেটি এমনভাবে সত্য হয়ে যাবে, ভাবিনি। আর ওনাদের মতো সংগীতশিল্পীরা বিচারটা আগে থেকেই করতে পারেন।

 

এবার এখনকার ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাই—

সম্প্রতি দুটি গান শেষ করলাম। সেগুলো মিউজিক ভিডিও করে রিলিজ দেবো। তবে গানগুলো কবে রিলিজ দেবো এগুলো এখনো ঠিক করিনি।  এছাড়া স্টেজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এখন স্টেজ শোয়ের চাপ একটু বেশি, তাই সেগুলো নিয়েই ব্যস্ত আছি। সিনেমার গানের কোনো ব্যস্ততা নেই এখন। 

 

অডিওর চেয়ে মিউজিক ভিডিওর দিকে এখন সবার আগ্রহ। এটি আপনি কীভাবে দেখেন?

এটি সময়ের সঙ্গে এসেছে। যেহেতু অডিও গান শ্রোতাদের মাঝে পৌঁছানোর মাধ্যম এখন কম, তাই ভিডিও করতে হচ্ছে। তবে গানের চেয়ে যখন মিউজিক ভিডিও গুরুত্ব বেড়ে যায় তখন সমস্যা। খুব সাধারণভাবেও একটি মিউজিক ভিডিও করে গানটি সবার কাছে পৌঁছানের যায়। আর এটিই হয়তো হওয়া উচিত। একটি বিষয় আমার খারাপ লাগে এখন নতুন যারা গান করছে তারা আমাদের অডিওর স্বর্ণযুগটা দেখেনি। নব্বই দশকে অডিওর যে রমরমা অবস্থা ছিল আমাদের, সেটি তারা দেখতে পারলো না।