ইজাজ খান স্বপন। চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি গানের ইভেন্ট পরিচালনা নিয়েও চলে তার ব্যস্ততা। তার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা প্রসঙ্গের পাশাপাশি এদেশের রিয়্যালিটি শো, গানের অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বিনোদন প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু
কেমন আছেন?
এইতো বেশ ভালো। সবকিছু মিলিয়ে ভালো যাচ্ছে।
শুরুতে আপনার এখনকার ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাই—
সম্প্রতি ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’-এর কাজ শেষ করলাম। এখন বেশ কয়েকটি নতুন অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত আছি। এছাড়া চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠানগুলো নিয়মিত দেখতে হচ্ছে। মুজিববর্ষের উদযাপন অনুষ্ঠান নিয়ে এখন বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। কারণ এটি বেশ বড় পরিসরে কিছু হচ্ছে। আর তাই শতভাগ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
্বআপনি গান নিয়ে রিয়্যালিটি শো করছেন অনেকদিন। এই শোগুলোতে গানের মূল শিল্পীর নাম উল্লেখ করা হয় না বলে একটি অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এ বিষয়ে কী বলবেন?
এই অভিযোগটি আমার ব্যাপারে কেউ বলতে পারবেন না। কারণ আমি দীর্ঘদিন গানের সঙ্গে রয়েছি। গানের কাউকে অসম্মান যেন করা না হয় সেটি আমি সবসময় নজরে রাখি। মূল শিল্পীদের নাম উল্লেখ করা আমাদের দায়িত্ব। আমিতো দায় এড়াতে পারি না। এমন অভিযোগ যেসব অনুষ্ঠানের বিষয়ে আসছে, আমি মনে করি এই বিষয়গুলোতে ভালোভাবে নজর দেওয়া উচিত। রিয়্যালিটি শো করার পর অনেক সিনিয়র শিল্পীর আত্মীয়রা আমাকে ফোন দিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছেন। নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করার পর এই ধরনের ফোন আত্মতৃপ্তি দেয়।
রিয়্যালিটি শো থেকে এখন তারকা শিল্পী তৈরি হচ্ছে না। এই বিষয়ে কী বলবেন?
এই বিষয়ে আমি পুরো একমত হতে পারলাম না। কারণ সম্প্রতি আমাদের ‘সেরাকণ্ঠ’ থেকে যারা বের হয়েছে তারা কিন্তু বেশ ভালো করছে। তাদের নাম অনেকে জানছে। তারা নিয়মিত কাজ করছে। একজন নতুন শিল্পীকে ফোন দিলেও আপনি জানবেন তিনি নিয়মিত স্টেজ শো করছেন।
বর্তমানে মিউজিকের অবস্থাটা রমরমা নেই বলেও সংশ্লিষ্টদের অনেকেই বলেন। এই প্রসঙ্গে আপনার ধারণা জানতে চাই—
সময়ের সঙ্গে সবকিছুর পরিবর্তন হয়। তাই বলে কোনোকিছুই থেমে থাকে না। এক সময় ক্যাসেট-সিডি ছিল। সেগুলো বড় অনুষ্ঠান করে প্রকাশ হতো। সেক্ষেত্রে সবাই জানতো। এখন বিষয়টি ডিজিটাল হয়ে গেছে। ইউটিউবে সবাই গান রিলিজ দিচ্ছে। গান কিন্তু হচ্ছে। কিন্তু সেটির অবস্থানটা পরিবর্তন হয়েছে। গান মানুষ শুনবেই। সেটি যে মাধ্যমেই হোক। নাটক বা সিনেমাও কিন্তু গান ছাড়া হয় না। গানের প্রতি মানুষের ভালোবাসাটা পরিবর্তন হওয়ার না।
ডিজিটাল হওয়ায় এখন ভিউ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এটি কী জনপ্রিয়তার মাপকাঠি মনে করেন?
ভিউ প্রতিযোগিতা আমার কাছে একটু অন্যরকম মনে হয়। এটিকে সঠিক মাপকাঠি মনে করি না। তবে ভালো গান হলে সেটির ভিউ কোনো বিষয় না।