তানভীর তারেক
‘সুজন সখী’ ফারুক-কবরী। একজন এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন। আরেকজন চিকিত্সারত। দু’জন জুটি বেঁধে একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সেসব সিনেমার একটি ‘সুজন সখী’। খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ১৯৭৫ সালে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। এরপর থেকে ফারুক সুজন নামে এবং কবরী সখী নামে সর্বাধিক পরিচিতি পায়। পর্দায় যেমন, বাস্তবেও তেমনই সুজন-সখীর মধ্যে ছিল চরম সখ্য।
গত ১৬ এপ্রিল দিনগত রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সখী ওরফে কবরী। তার মৃত্যুর খবর এখনো জানেন না সিঙ্গাপুরে চিকিত্সাধীন সুজন ওরফে চিত্রনায়ক ফারুক। মার্চ থেকে তিনি দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছেন ফারুক পুত্র শরত্।
ফারুক পুত্র বলেন, ‘বাবাকে এখনো কবরী আন্টির মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়নি। সেই পরিস্থিতি নেই। তার অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও সুস্থ নন। দিন-রাতের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটান। উঠে বসতে পারেন না। তবে আগের মতো অচেতন নন। আইসিইউতে রাখা হলেও চিকিত্সকরা জানিয়েছেন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন।’
এ অবস্থায় কবরীর মৃত্যুর সংবাদ জানানোর মতো কোনো পরিস্থিতি নেই বলে জানালেন ফারুক পুত্র শরত্।
তিনি বলেন, ‘মার্চে যে অবস্থা ছিল তাতে আমরা হতাশ ছিলাম। তবে এখনো হতাশা অনেকটা কেটে গেছে। ডে বাই ডে তার মুভমেন্ট ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে খুব বড় ইমফ্রুভমেন্ট হচ্ছে তা নয়। এখনো ওঠেননি, তবে মাঝেমধ্যে তাকিয়ে দেখেন। প্রেসার, হিমোগ্লোভিন এবং ব্রেইনে যেসব সমস্যা ছিল সবকিছু ডাক্তারের কন্ট্রোলে আছে।’
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, এভাবেই চিকিত্সা চালাতে হবে। কবে সুস্থ হবেন নির্দিষ্ট কোনো সময় দেওয়া হয়নি। তবে মে মাসের ৪ তারিখ তার দু-মাস সেখানে চিকিত্সা নেওয়ার পূর্ণ হবে।
ফারুক পুত্র বলেন, ‘তাকে কয়েকবার ডাকলে একবার সাড়া দেন। তাকিয়ে দেন। যদি শরীরে নাড়া দেওয়া হয় তাহলে তিনি নাড়াচড়া করেন।