শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নতুন সঙ্কটে অডিও ইন্ডাস্ট্রি

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ২০:২০

দেশের উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করেছে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘রবি’। তাদের গ্রাহকরা স্ট্রিমিং অ্যাপ ‘জি ফাইফ’-এর মাধ্যমে অবাধে উপভোগ করতে পারছেন হিন্দি গানসহ বিদেশের বিভিন্ন নাটক, সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ।

এই ঘটনায় ‘এমআইবি’র (মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) পক্ষ থেকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটি বরাবর একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। সেখানে জানতে চাওয়া হয়, কেন উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটি উপমহাদেশের গান-নাটক বিপণন করছে। এমআইবি’র সভাপতি ও দেশের অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজার ভিশনের চেয়ারম্যান একে এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘এই সময়ে এসে রবির ওপর ভর করে বাংলাদেশে আবারও হিন্দি কনটেন্ট প্রবেশ করছে। মোবাইলে যদি আবার আমরা হিন্দি গান ছড়িয়ে দিই তাহলে মানুষ বাংলা গান শুনবে কেন? বাংলা গান যদি হিন্দির প্রভাবে আবার ঢাকা পড়ে যায় তাহলে আর আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি থাকবে না।’ সংগীতশিল্পী ধ্রুব গুহ বলেন, ‘দেশের গান ও সংস্কৃতি রক্ষা আমাদেরই করতে হবে। দেশের সংস্কৃতি বিকিয়ে, হিন্দি গান ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে আমাদের রেভিনিউ বাইরে চালান হয়ে যাবে—এটা তো হয় না। বাংলা গান মানে বাংলা ভাষা—এটুকু বোধ আমাদের থাকতে হবে। দেশের স্বার্থে এটার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।’

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অনুপম রেকর্ডিংয়ের প্রধান আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অনেকদিন হতাশার মধ্যে কেটেছে। চারদিকে শুধু হিন্দি সিনেমার গানের দৌরাত্ম্য। অবশেষে সম্প্রতি আবারও নতুন করে শুরু করলাম। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে গানগুলো বেশ চলছিল। এরমধ্যেই আবার হিন্দি গান প্রবেশ করলো। আবারও আমরা যদি হিন্দির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হই, তবে তো নিঃশেষ হয়ে যাবো।’ সিডি চয়েসের কর্ণধার জহিরুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই বাংলা সংগীত, নাটক ও সিনেমাকে লালন করে আসছে। হুট করে আমার সাজানো ঘর ভারতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা কনটেন্ট এসে যদি খেয়ে ফেলে তাহলে কী হবে? এর সবকিছু তুচ্ছ করে একটি প্রতিষ্ঠান হিন্দি গানের বাণিজ্য শুরু করে দিলো! এই পরিস্থিতিতে আমরা যদি এক না হই, প্রতিবাদ না করি তাহলে কে করবে!’