সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হলহলিয়া রাজবাড়ির পাশেই অবস্থিত লাল শাপলার বিল। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এই বিলটি বিকিবিল নামেও পরিচিত। এই বিলের যেদিকে দুচোখ যাবে সেখানেই শুধু সবুজের মাঝে লাল শাপলার সমারোহ। বিকিবিলের এই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিদিনই এখানে ভিড় করছে সৌন্দর্য পিয়াসী মানুষ। এই বিলে আগত দর্শনার্থীরা মূলত ভোর বেলায় নৌকায় ঘুরে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেশি পছন্দ করেন। এর পাশাপাশি বিকাল বেলাও এখানে লোক সমাগম ঘটে।
সুনামগঞ্জ জেলা শহর হতে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিলটি। সুনামগঞ্জ নেমে ১০ টাকায় অটো রিকশায় করে আব্দুজ ব্রিজে এসে ভাড়ায় চলা মোটরসাইকেলে করেই মানুষ এই বিলে যায়। এর পাশাপাশি অনেকে প্রাইভেটকার নিয়েও সেখানে যেতে পারেন। তবে সরাসরি গাড়ি সেখানে যায় না। প্রাইভেটকারে যেতে হলে সুনামগঞ্জ হতে পলাশ ধনপুর স্বরুপগঞ্জ হয়ে সোজা যাদুকাটা নদীর পাড়ে গাড়ি রেখে নদী পার হয়ে ঘাগটিয়া নদীর পাড় হতে অটো সিএনজি করে ১৫/২০ মিনিটেরর মধ্যেই পৌঁছে দিবে শাপলার বিলে। শাপলার বিলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের উত্তরে থাকা সবুজে ঘেরা ভারতের মেঘালয় পাহাড় বেষ্ঠিত কাঁশতাল, বোরোখাড়া ও আমবাড়ি ও কাউকান্দি গ্রামের মধ্যখানে বিকিবিলের অবস্থান। চারপাশে গ্রামসমূহের স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা ভোরে ছোটো নৌকায় করে শাপলা তুলে নৌকায় দুপাশ রাঙিয়ে পর্যটকদের উত্সাহিত করছে।
পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কিছুদিন আগে ‘লাল শাপলার বিকিবিল’ এর উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, তাহিরপুরের টাংগুয়ার হাওর, ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্প, শহিদ সিরাজ লেক, হলহলিয়া রাজবাড়ি, যাদুকাটা নদী, বারেকের টিলা, শিমুল বাগানের পর নতুন সংযোজন বিকিবিল। এই নতুন স্পট এ এলাকায় পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা জাগিয়েছে।