শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রোহিঙ্গারা শুধু বাংলাদেশ নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি :প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৩৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক। এরা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। উন্নয়নের জন্য শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখাটা জরুরি আখ্যায়িত করে তিনি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে টেকসই প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে              ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (বিস) এবং ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) যৌথভাবে তিন দিনব্যাপী এই ডায়ালগের আয়োজন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলোর অর্থনীতি ও নিরাপত্তার জন্য এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অত্যাবশ্যক। সমুদ্রসীমা ও সামুদ্রিক অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ মনে করে, পরস্পরের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা বা ‘জিরো-সাম গেম’ বঙ্গোপসাগর বা ভারত মহাসাগরের ‘নীল অর্থনীতি’ বিকাশের জন্য সহায়ক নয়। বরং তা এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বড়ো প্রতিবন্ধক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আরো মনে করি, সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও এর মাধ্যমে ‘নীল অর্থনীতির’ টেকসই উন্নয়নের জন্য সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলোর মধ্যে সহায়তাপূর্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ ও সমতাপূর্ণ সম্পর্ক আবশ্যক।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রসঙ্গ টেনে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা অর্জনেরও উদাহরণ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শতবর্ষব্যাপী ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ একটা ব-দ্বীপ। তাই এই ব-দ্বীপ অঞ্চলের পানি সম্পদের সুষ্ঠু ও যথাযথ ব্যবহার করার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. সামির স্মরন এবং বিস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আব্দুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ‘আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ভিডিও উপস্থাপনা ও পরিবেশিত হয়। ‘প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও ইন্দো-প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হওয়া এ আলোচনায় বিভিন্ন দেশের ১৫০ জনেরও বেশি আলোচক অংশ নেবেন।