শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নূর হোসেনকে নিয়ে কটূক্তি মাফ চাইলেও জনগণ রাঙ্গাকে ক্ষমা করবে না :কাদের

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ২২:১৭

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা দায়িত্বহীন মন্তব্য করে রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর    শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, কথা মুখ থেকে ফসকে গেলে মুখে আর ফিরে আসে না। যত সরি বলা হোক, যতই অ্যাপোলাইজ করা হোক, এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্য, কটাক্ষ আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জীবন উত্সর্গকারী নূর হোসেনকে কটাক্ষ করলে জনগণ ক্ষমা করবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করলে কাউকে ক্ষমা করা হবে না। বাংলাদেশের জনগণও এক্ষেত্রে কাউকে ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও নূর হোসেনকে নিয়ে কেউ কেউ কটাক্ষ করছেন। নূর হোসেনের গণতন্ত্রের সংগ্রাম সম্পর্কে দেশ ও জাতি জানে। সেই নূর হোসেনকে অশ্রাব্য ভাষায় কটাক্ষ করা হয়েছে। আমাদের নেত্রীর বদৌলতে যারা রাজনীতিতে অক্সিজেন পেয়েছেন, তারা নেত্রীকেও কটাক্ষ করেন। কেউ বিষাক্ত কটূক্তি করে সীমা লঙ্ঘন করবেন না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুদ্ধি অভিযানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলবেন। দলের বিরুদ্ধে কলহ করবেন না। আমরা আদর্শের রাজনীতি করব। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কর্মী, কেউ ব্যক্তিগত কটূক্তি করবেন না। কটূক্তিকারীকে আমরা সহ্য করব না।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ উত্তরের সভাপতি মোবাশ্বের চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ, সদস্য সচিব গাজী মেজবাহ হোসেন সাচ্চু প্রমুখ।

সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ি

সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে সামনে বসাকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া ও বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান খান ইরানের নেতাকর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। দুই জনই সভাপতি পদ প্রার্থী। ইরানের সমর্থকদের আক্রমণে ইসহাকের সমর্থকরা সম্মেলনস্থল ছেড়ে বাইরে অবস্থান নেন। এসময় ক্যামেরাম্যানসহ কয়েকজন আহত হন। পরে সিনিয়র নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।