স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের নামে দেশে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে কি না তা জানতে মাঠ পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন তথ্য চাওয়া হয়। তখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানোর কথা জানানো হয়। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর প্রতিবেদন আকারে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হবে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, নজরুল ইসলাম বাবু, শিরীন আখতার, জোয়াহেরুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেন অংশ নেন। বৈঠকে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সঠিকভাবে লেখাপড়া করছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যদের তদারকি কার্যক্রম জোরদারের সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য শিরীন আখতার সাংবাদিকদের জানান, যেসব শিক্ষার্থী ক্লাশে পিছিয়ে আছে, তাদের বাইরে আলাদা পাঠদানের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিকে জানানো হয়েছে, সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিদিন প্রতি শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি শব্দের সঠিক উচ্চারণে শেখানো নিশ্চিতকরণে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচি ফলপ্রসূ করতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা ছক তৈরি করে রেকর্ড করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি তদারকি করছেন। এছাড়াও বৈঠকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি, পিটিআই নিয়ে আলোচনা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে শিক্ষকরা প্রশিক্ষণের আলোকে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দিচ্ছেন কি না, তা তদারকির সুপারিশ করা হয়। প্রকল্প গ্রহণের আগে প্রকল্পের অর্থ যেন যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়, তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে সক্ষম এমন প্রকল্প প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।