বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চট্টগ্রামে চালের বাজার অস্থির

আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ২২:১৯

চট্টগ্রামে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। প্রতিটি চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে গেছে। আর চিনিগুঁড়া চাল বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা ও জিরাশাইলের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। বাজারে এখন নতুন চাল এসেছে। তারপরও মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রামে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী চালের মজুদ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর উত্তরাঞ্চলের মিল মালিকরা সরকারকে চাল দিচ্ছে। ফলে তারা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরাও একই কথা জানান। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানায়, বাজারে সব রকম চালের দাম কেজিতে দুই-তিন টাকা করে বেড়েছে।

চট্টগ্রামে চাল আসে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে। প্রতিদিন নওগাঁ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর ও বগুড়া থেকে প্রায় ১৫০ গাড়ি চাল আসে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারগুলোতে। গুটিকয়েক ব্যবসায়ী ছাড়া বেশিরভাগ ব্যবসায়ী উত্তরাঞ্চল থেকে চাল এনে কমিশনে বিক্রি করে। সরকার এখন খোলা বাজার থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করেছে। মিল মালিকদের কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ফলে মিল মালিকরা সরকারকে ধান-চাল সরবরাহ করছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা মো. সেলিম ইত্তেফাককে বলেন, সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে ধান ও ৩৬ টাকা দরে চাল কিনছে। চট্টগ্রামে অনেকেই কমিশনে চাল বিক্রি করে। মিল মালিকরা যে দর নির্ধারণ করে দেয় সেই দরে বিক্রি করেন কমিশন এজেন্টরা। মিল মালিকরা খোলা বাজারে চাল বিক্রি কমিয়ে দেওয়ায় চালের বাজারে দাম বেড়েছে।’

চট্টগ্রামে পাইকারি চালের দুইটি বাজার রয়েছে। একটি পাহাড়তলী ও অন্যটি চাক্তাই। দেখা গেছে চিনিগুঁড়া চালের নতুন ও পুরাতন দুইটিরই দাম বেশি বেড়েছে। পুরাতন চিনিগুঁড়া প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) ৫ হাজার ৫০০ টাকা আর নতুন ৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাক্তাই চালের পাইকারি বাজারেও উর্ধ্বমুখী        অবস্থা বিরাজ করছে। পাইজার আতপ, চিনিগুঁড়া, কাটারীভোগ আতপ, বেতি আতপ, মোটা বেতি আতপ, ইরি সিদ্ধ ও পাইজাম সিদ্ধ চালের দামও বেড়েছে। মক্কা রাইস এজেন্সির মালিক মো. রাসেল বলেন, চালের বাজার ওঠানামা করছে। আমরা আশুগঞ্জ থেকে চাল এনে কমিশনে বিক্রি করে থাকি। মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিলে আমাদেরও বাড়াতে হয়।’ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, খুচরা বাজারে মোটা চাল কেজি ৩০ থেকে ৩২ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫২ টাকা জিরাশাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মো. সফিউল আলম ইত্তেফাককে বলেন, সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ চলছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার মেট্রিক টন। সংগ্রহ কার্যক্রম কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। কৃষকদের সাড়া পাচ্ছি কম। তবু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চেষ্টা করে যাচ্ছি।