শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বর্জ্য থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদন

দেশি-বিদেশি সবাইকে সহযোগিতা করবে সরকার

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৩৩

বর্জ্য থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে চাইলে তাকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী। সরকারও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের প্রস্তাব আসছে। একটা প্রস্তাব নিয়ে একনেকে আলোচনা হয়েছে। একজন মন্ত্রী বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে চান। বিদেশি কোনো কোনো কোম্পানিও আসতে চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, আমরা সহযোগিতা করব। যদি বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পারে এবং এটা আমাদের পরিবেশ ও চাহিদার সঙ্গে মিলেমিশে হয়, আমরা করব।’

একনেক সভায় ১৩ হাজার ৬৩৯ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়সংবলিত ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) ৮ হাজার ৮৮৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন (রাজশাহী সিটি করপোরেশন) ২৯৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ আকারে ৪ হাজার ৪৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে, সেখানে যেন আপত্কালীন সময়ে দ্রুত নৌ চলাচলের ব্যবস্থা থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া দেশের বন্দরে যেসব স্থান দিয়ে মালামাল পরিবহন করা হয়, সেখানে স্ক্যানার মেশিন বসাতে হবে। শহরে আধুনিক কসাইখানার যথাযথ ব্যবহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো ২৮২ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাজি কামাল উদ্দীন সড়ক (বেগমগঞ্জের গ্লোব ফ্যাক্টরি থেকে কবিরহাটের ফলাহারী পর্যন্ত) উন্নয়ন প্রকল্প, ৪০৭ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা সংযোগ সড়কসহ কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ (শিকলবাহা-আনোয়ারা সড়ক) প্রকল্প, ১৬৮২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুর-জাজিরা-নাওডোবা     (পদ্মা ব্রিজ অ্যাপ্রোচ) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ১৩৫১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়ায় আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ নদীবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্প, ৬ হাজার ১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, ৭২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থাপনাসমূহ নদীভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্প, ১২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদীবিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প, ১১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এবং ২ হাজার ৯৩১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।

কচুরিপানা খেতে বলিনি :পরিকল্পনামন্ত্রী

এদিকে কচুরিপানা খেতে বলা নিয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একনেক সভা শেষে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয় যে কচুরিপানা খেতে বলেছি। কাঁঠাল-কচুরিপানা নিয়ে আরো গবেষণা করা যায় কি না, সে কথা বলেছি। আমি নিজেও ছোটবেলায় কচুরিপানার ফুল খেয়েছি। মা বেসন দিয়ে ভেজে দিতেন।’ সোমবার এনইসি মিলনায়তনে রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আরডিএফ) অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে আসেনি উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষিসহ অন্য ক্ষেত্রে গবেষণা আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছি।’