বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাঙ্গাবালীতে গণধর্ষণ শেষে কিশোরীকে হত্যার তিন মাস পর মামলা

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ২৩:৩৯

গণধর্ষণের পর সীমা আক্তার নামে এক কিশোরী হত্যার ঘটনার তিন মাস পর মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় আটজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। ওইদিন রাতেই মামলার আসামি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নবিনূর রহমানকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

১৩ বছর বয়সী সীমার বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সামুদাবাদ গ্রামে। সে রাঙ্গাবালী হামিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত বছরের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়িতে সীমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ঘটনার তিন মাস পর চলতি বছরের ৩ জানুয়ারী পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি অভিযোগ করা হয়। সীমার মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।  এর আগে তাসলিমা বেগম থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। পরে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন।

অভিযোগটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে রাঙ্গাবালী থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক মামলা দায়ের করার জন্য নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে শনিবার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা হলো- সুমন চৌকিদার, দানেশ চৌকিদার, সেরাজুল চৌকিদার, নবীনূর রহমান, ছাদের চৌকিদার, ইমরান চৌকিদার, রাকিব  চৌকিদার ও মোফা। তাদের মধ্যে শুধু মোফার বাড়ি উপজেলার কাছিয়াবুনিয়া গ্রামে  এবং বাকিদের বাড়ি সামুদাবাদ গ্রামে। মামলার পর শনিবার রাতেই  উপজেলার পুলঘাট বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নবিনূরকে গ্রেফতার করা হয়।