ভারতে এক দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে, যা বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে আরো ২ হাজার ১০৪ জনের। গতকাল বৃহস্পতিবার এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার ৯৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। যদিও মৃত্যুর সংখ্যায় এখনো চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৭ জনের।
খবরে বলা হয়েছে, সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র রাজ্যে। এরপর রয়েছে কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ও দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে ৬৭ হাজার ৪৬৮ জন।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, অক্সিজেনের ঘাটতির মধ্যেই ভারতে সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। বেশির ভাগ বড় শহরের হাসপাতালে রোগীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া বলেছেন, অনেক হাসপাতালেই এখন অক্সিজেন নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে অনেকের জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। অক্সিজেনের সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কোভিড পরিস্থিতি দেশকে একটা অস্বাভাবিক বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এটাকে জাতীয় পর্যায়ে ‘জরুরি অবস্থা’ বলা যেতে পারে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেন সরবরাহ, অত্যাবশ্যক ওষুধ বণ্টন এবং টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী পরিকল্পনা করেছে, তা এক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতকে জানাতে হবে। দেশটির প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় বলেন, অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রাণ বাঁচানোর ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। যেখান থেকে হোক, যেমন করে হোক, ভিক্ষা করে, চেয়ে, কিনে, অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতেই হবে। এ ব্যাপারে দেশের ছয়টি হাইকোর্টে মামলা চলছে। কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যে সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা এই আদালতে পেশ করতে হবে এবং আগামীকালই তার শুনানি হবে।
এদিকে সিঙ্গাপুর সরকার জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন এমন দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি ভিসা হোল্ডারদের দেশটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুটনিক ভি টিকা মে মাসের শেষ দিকে ভারত পেতে শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।