শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দায়িত্ব নিচ্ছেন ভিপি নুর

আপডেট : ২২ মার্চ ২০১৯, ২২:৫৬

ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী নেতৃবৃন্দের প্রথম কার্যকারী সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তাছাড়া হলগুলোর সভা স্ব স্ব হলে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্ববিদ্যারয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ সভায় অংশগ্রহনের মাধ্যমেই বিজয়ী প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণ করবেন। অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করা এবং পুন:নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেওয়া    ভিপি পদে বিজয়ী নুরুল হক নূর দায়িত্বগ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে এতদিন ধোঁয়াশা ছিল। তবে গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করছেন বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন। তিনিই ভিপি পদে নুরুল হক নূরের দায়িত্বগ্রহণের বিষয়ে ঘোষণা দেন। এ সময় নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূর, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান, ফারুখ হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরাও দায়িত্বগ্রহণ করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

এর আগে গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ এনে বর্জন করে ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতে জয়ী হয় ছাত্রলীগের প্যানেল। এছাড়াও ১৮টি হল সংসদের ১২টিতে জয়ী হয় সংগঠনটির প্যানেলে দাঁড়ানো নেতারা। বাকি হলগুলোর ভিপি, জিএসসহ বেশ কিছু পদে জয়ী হন স্বতন্ত্ররা। আর ডাকসুর সহ-সভাপতিসহ (ভিপি) দুটি পদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা জয়ী হন।

গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ডাকসুতে নির্বাচিত নুরুল হক ও আখতার হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের সংগঠন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাবির অধিকাংশ সাধারণ শিক্ষার্থীর ম্যান্ডেটকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে আগামীকাল (আজ) অনুষ্ঠেয় ডাকসুর কার্যকরী সভায় তারা আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পুননির্বাচন দাবিসহ শিক্ষার্থীদের অন্য যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধান করতে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে। পুনঃনির্বাচনের চাওয়া আমাদের বরাবরের মতোই রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম এবং ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও বেগবান করার জন্য আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব অঙ্গসংগঠন বা কথা বলার জায়গা রয়েছে, সেসব জায়গায় অনিয়ম নিয়ে কথা বলতেই আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে মেধাভিত্তিক সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তে অর্থ ও পেশিশক্তিনির্ভর অপরাজনীতির বিকাশ ঘটেছে। ঢাবির পাঁচটি ছাত্রী হল আর বিজয় একাত্তর হল ছাড়া অন্য হলগুলো প্রশাসন যেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের কাছে ইজারা দিয়েছে। যে মেধা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে, সেই মেধা ও অর্থনৈতিক অবস্থা দেখেই হলে তাঁদের আসন নিশ্চিত করতে হবে।