বিএনপির নেতৃত্ব দিতে চান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ার-ম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জেলে থেকে আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। তারেক রহমানের পক্ষে লন্ডন থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকা সম্ভব নয়। সুতরাং দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদেরকেই সেই দায়িত্ব নিতে হবে এবং আমি সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমাদের আর বসে থাকলে চলবে না, এগিয়ে যেতে হবে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এগিয়ে যাওয়ার। বিএনপি ও তাদের নেতাদেরকে অনুরোধ করব—হয় আপনারা নেতৃত্ব দেন, নাহলে আমাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করুন। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এলডিপি আয়োজিত ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে আরো বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পারোয়ার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ,নিলুফার চৌধুরী মনি প্রমুখ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মিয়া মোহাম্মদ গোলাম পারোয়ার বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তির আন্দোলনে জামায়াত ইসলামী বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের সঙ্গে ছিল এবং থাকবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২০ দলের অন্যতম শরিক দল হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। তারা যদি সত্যিকার অর্থে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় তাহলে তাদেরকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে। আজ তাদের পিতারা যে ভুল করেছেন তার জন্য বর্তমানে যারা আছে তাদেরকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমার দৃষ্টিতে ২০ দলের প্রধান সমন্বয়কারী কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম।