শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বে আওয়ামী লীগ :প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ২৩ জুন ২০১৯, ২২:২৪

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল নিপীড়ন রোধ করতে, শোষণ-বঞ্চনা-ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে। আওয়ামী লীগই দেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল রবিবার সকালে দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার হারানো স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটি জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। আওয়ামী লীগই দেশ ও জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বাংলার জনগণ কিছু না কিছু পেয়েছে। বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব—আজকের দিনে এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। তিনি এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, চার জাতীয় নেতা এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী দলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

এদিকে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে উত্সবমুখর পরিবেশে বর্ণিল নানা আয়োজনে গতকাল রবিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সকালে দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীর শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতি। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আরেকবার শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় অন্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনাও গলা মেলান জাতীয় সংগীতে। এরপর পায়রা অবমুক্ত করার পাশাপাশি বেলুনও ওড়ানো হয়। পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের ভেতরে যান এবং সেখানে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ ফারুক খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন প্রমুখ।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা ত্যাগ করার পর একে একে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।