বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তারেকের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আপিল করা হবে :কাদের

আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৯, ২২:১৮

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমানের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন নিয়ে আওয়ামী লীগ উচ্চ আদালতে যাবে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আমাদের আছে।’ গতকাল বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অস্থায়ী শহিদ বেদিতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের যেমন বিচার হয়েছে, ঠিক তেমনি এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানেরও সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া             উচিত। এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে উল্লেখ আছে, তারেক রহমানের নির্দেশ মেনেই তারা সেদিন অপারেশন চালিয়েছিল। কাজেই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হলে এর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তারেক রহমানের বিচার হওয়া উচিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মূল টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তিনি বেঁচে আছেন বলেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হবে বাংলার মাটিতে। বাংলার মানুষ এর জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আজকের দিনে আমাদের শপথ, রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মোকাবিলা করব। বাংলার মাটি থেকে হত্যা-সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নির্মূল করতে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাবে।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা, একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। আমরা সেভাবেই বিষয়টিকে দেখি। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে যে কর্মসম্পর্ক থাকা দরকার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে সেটা চিরদিনের জন্য শেষ করে দিয়েছে বিএনপি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বিএনপি বাংলাদেশে বিভেদের রাজনীতির যে দেওয়াল তুলেছে, তা অতিক্রম করা সম্ভব নয়। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে গণভবনে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া কেমন ব্যবহার করেছিলেন, সেটা দেশের মানুষ জানে। খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর শেখ হাসিনা পুত্রহারা মাকে সান্ত্বনা দিতে তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংলাপের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি।