জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে গোলাম রাব্বানী ও শাখা ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসাইনের ফোনালাপ ফাঁসের পর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ছাত্রদের হলগুলোতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রের মজুত। ফলে সংঘর্ষ হলে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। বারবার হলে অভিযানের আশ্বাস দিয়েও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
সম্প্রতি জাবির উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রাব্বানী-সাদ্দাম ফোনালাপ ফাঁসের পর মঙ্গলবার ক্যাম্পাস ছেড়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হামজা রহমান অন্তর। তবে সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসের সাদ্দাম ও তাজের নেতৃত্বে শোডাউন করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। সাদ্দাম বলেন, ‘আমাকে সরাসরি কেউ কোনো ধরনের হুমকি দেয়নি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর শুনলাম ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ মারমুখি অবস্থান নিয়েছে। যে কোনো সময় ক্যাম্পাসে বড়ো ঝামেলা হতে পারে।’
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, ‘গত সোমবার রাতে মওলানা ভাসানী হলে একটি নাইন এম এম বন্দুক এবং ২২ রাউন্ড গুলি এসেছে। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা বঙ্গবন্ধু হলে দুইটি অস্ত্র রেখে যান। ধারণা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে এসব আনা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অন্তত ১৩টি, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে চারটি, শহীদ সালাম বরকত হলে চারটি, বিশ্বকবি রবীন্দ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।’ গত এক বছরে তিনটি সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সবমিলিয়ে অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় এ সংঘর্ষে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তিনি পৃথক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরাও এমনটি শুনেছি। ইতিমধ্যে সে অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে যদি কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তবে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’