শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গুলশানে অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা খালেদ গ্রেফতার

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:২৩

ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ল্যাংড়া খালেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ঐ বাসা থেকে একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মদ, ইয়াবা এবং ক্যাসিনো চালানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাব। এর আগে খালেদের গুলশান-২-এর ৫৯ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় শুরু হয় অভিযান। দুপুর থেকেই বাড়িটি ঘিরে রাখেন র্যাবের শতাধিক সদস্য। একই সময় ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। এই ক্যাসিনোর সভাপতিও খালেদ। এ সময় ঐ ক্যাসিনোর ভেতর থেকে তরুণীসহ ১৪২ জনকে গ্রেফতার ও নগদ ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ফকিরাপুলের অভিযান শেষে খালেদের বাসায় ঢোকে র্যাব। গ্রেফতার হওয়া ১৪২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।

র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ইত্তেফাককে বলেন, ‘অবৈধ এই ক্যাসিনোগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলবে। যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই অভিযান চলবে। জিরো টলারেন্স নীতিতে র্যাব এই অভিযান চালাচ্ছে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ছত্রছায়ায় রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় শতাধিক জুয়াচক্র বা ক্যাসিনো চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্র্রতি আওয়ামী লীগের বৈঠকে যুবলীগের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ঢাকায় অবৈধভাবে ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে যুবলীগ  নেতারা। আমার কাছে সবার আমলনামা আছে।’ গত শনিবার দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় যুবলীগ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে তুলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে সে। আমার সংগঠনে চাঁদাবাজ দরকার নেই।’

র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সারোয়ার আলম জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ১৪২ জনের মধ্যে ইয়াংমেনস ক্লাবের ছয়জন কর্মচারীসহ ৩১ জনকে এক বছর এবং বাকিদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ক্যাসিনোর ম্যানেজার একজন নেপালি। অভিযানের খবর পেয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন। তার বিষয়ে খোঁজ-খবর  নেওয়া হচ্ছে। রাতে র্যাব-৩ এর অধিনায়কের নেতৃত্বে কমলাপুর রেলস্টেশনের উল্টোদিকে ইস্টার্ণ টাওয়ারের চতুর্থ তলায় যুবলীগ নেতা খালেদের টর্চার সেল আবিস্কার করে র্যাব। সেখানে মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতনের আলামতও পাওয়া গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরই অভিযান

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাসিনো সনাক্ত করতে মাঠে নামে। এরপরই গতকাল থেকে শুরু হয় অভিযান। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মতিঝিল-ফকিরাপুল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো থেকে শুরু করে কমপক্ষে সাতটি সরকারি ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি জমি দখলের মতো নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের পর মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ছত্রচ্ছায়ায় ঢাকার এক অংশের নিয়ন্ত্রণ আসে খালেদের হাতে। নিজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেন তিনি।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন এই যুবলীগ নেতা। এর মধ্যে ১৬টি ক্লাব নিজের লোকজন দিয়ে আর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস নামের ক্লাবটি সরাসরি তিনি পরিচালনা করেন। প্রতিটি ক্লাব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ টাকা নেন তিনি। এসব ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত চলে জুয়া। সেখানে মাদকের ছড়াছড়ি। পাওয়া যায় ইয়াবাও।

এতদিন কেন অভিযান হয়নি?

ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাবের পাশেই একাধিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অফিস। পাশাপাশি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এসব নিয়ে কাজ করে। এখন প্রশ্ন উঠেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় এতদিন কিভাবে এই অবৈধ কারবার চলেছে? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরই কেন অভিযান শুরু করতে হল? এতদিন সেটা হয়নি কেন? যেখানে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এসব ক্যাসিনোতে অবাধে মদ, মাদক, হিরোইন, ইয়াবা মিলত। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের যারা ঋণ খেলাপি তাদেরও অনেকেই বস্তায় বস্তায় টাকা নিয়ে ক্যাসিনোতে যান। ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্তদের আসলে কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এখানে সব দলের লোকই আছে। দিন শেষে সবাই টাকার ভাগ পান। প্রতি রাতে কোটি কোটি টাকা উড়ে। রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বড় ব্যবসায়িদের একটি অংশও এখানে যান। অভিযোগ আছে, ফকিরাপুলের স্থানীয় একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রতি রাতে ওই এলাকার ক্যাসিনোগুলো থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা পেতেন। শুধু এই নেতাই নন, রাজনীতিবিদ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ অনেকেই এখান থেকে চাঁদার ভাগ পেতেন।

খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

সূত্র জানায়, খিলগাঁও-শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী লেগুনা ও গণপরিবহন থেকে নিয়মিত টাকা দিতে হয় খালেদকে। প্রতি কোরবানির ঈদে শাহজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া ও কমলাপুর পশুর হাট নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। খিলগাঁও রেল ক্রসিংয়ে প্রতি রাতে মাছের একটি হাট বসান এই নেতা। সেখান থেকে মাসে কমপক্ষে এক কোটি টাকা আদায় করেন তিনি। একইভাবে খিলগাঁও কাঁচাবাজারের সভাপতির পদটিও দীর্ঘদিন তিনি ধরে রেখেছেন। শাহজাহানপুরে রেলওয়ের জমি দখল করে দোকান ও ক্লাব নির্মাণ করেছেন।

জানা যায়, মতিঝিল, শাহজাহানপুর, রামপুরা, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ যুবলীগ নেতা খালেদের হাতে। এসব এলাকায় থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রেল ভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার ফকিরাপুল জোনসহ বেশিরভাগ সংস্থার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ‘ভূঁইয়া অ্যান্ড ভূঁইয়া’ নামের প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে তিনি তার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের নামেই অধিকাংশ টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘আমার কাছে আরো তথ্য আছে, রাজধানীর সব সুউচ্চ ভবনের ছাদ দখলে নিয়েছে যুবলীগের নেতারা। সেখানে ক্যাসিনো খোলা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুবলীগের সবার আমলনামা আমার হাতে এসেছে। আমি সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।’ যুবলীগ মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘গাড়ি ও অস্ত্র থাকে তার বহরে। আমার দলে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীর দরকার নাই। এরা দলকে, রাজনীতিকে কিছু দেয় না। এরা দলের বোঝা। সংশোধন না হলে জঙ্গিদের মতো তাদেরও দমন করব।’

এ ব্যাপারে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অস্ত্র ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আমরা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছি।’

যেভাবে খালেদের উত্থান

যুবলীগ নেতা খালেদের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছেন। ঐ সময় কলেজে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পুলিশের সঙ্গে তার সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের গুলিতে তার একটি পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই থেকেই তাকে ল্যাংড়া খালেদ নামে অনেকে চেনে। ১৯৮৭ সালে ফ্রিডম মানিক ও ফ্রিডম রাসুর নেতৃত্বে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা হয়। এ দুই নেতার হাত ধরেই খালেদের উত্থান। ২০০২ সালে বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাসের ভাই মির্জা খোকনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন খালেদ। ২০১১ সালে মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরে সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন বাবু ওরফে লীগ বাবু খুন হন। ঐ খুনের সঙ্গে খালেদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। দুবাইয়ে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। দুবাই ও সিঙ্গাপুরে জিসানের সঙ্গে যুবলীগ দক্ষিণের একজন শীর্ষ নেতাসহ খালেদকে চলাফেরা করতেও দেখেছে অনেকে। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঙ্গাপুরে হোটেল মেরিনা বে’তে জিসান, খালেদ ও যুবলীগের ওই শীর্ষ নেতার মধ্যে ক্যাসিনো এবং ঢাকার বিভিন্ন চাঁদার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে জিসান তাদের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ নিয়েই খালেদ ও যু্বলীগের ঐ শীর্ষ নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে যুবলীগের ওই শীর্ষ নেতাকে সরিয়ে দিতে একে-২২ রাইফেলসহ ভারী আগ্নেয়াস্ত্রও আনেন খালেদ। এসব অস্ত্র পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করে।

একযোগে ১৮ ক্লাবে অভিযান

ফকিরেরপুলে ইয়াংমেনস ক্লাবে অভিযানের পর একই এলাকায় ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব। রাত পৌনে নয়টার দিকে চালানো ওই অভিযানে জুয়ার বোর্ড, জাল টাকা ও তাস জব্দ করেছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইয়াংমেনস ক্লাবে অভিযানের পর অন্য ক্লাবগুলোতে তালা লাগিয়ে সবাই পালিয়ে যান। রাতে একযোগে ১৮টি ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর খবর নিশ্চিত করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সারোয়ার আলম। একইভাবে ওয়ান্ডার্স ক্লাবে অভিযানের সময় সেখানে থাকা কয়েকজন পরিচালক পালিয়ে যান। এই ক্লাবের সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কায়সার। ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক সাইদও ওই ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

একই সময়ে বনানীর আহমেদ টাওয়ারে গোল্ডেং ঢাকা বাংলাদেশ নামে আরেকটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়। সেখানেও জুয়ার বোর্ড, মাদক জব্দ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালানো হয়েছে। এই তিনটি ক্লাব থেকে জুয়ার ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার এবং ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এর মধ্যে ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম, ২০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, বিপুল পরিমাণ মদ ও মাদক জব্দ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র থেকে জুয়ার সরঞ্জাম, তিন লাখ টাকা, একটি কষ্টি পাথরের মুর্তি উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৯ জনকে। বনানীর আহমদ টাওয়ারে ‘গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ’ নামে ক্যাসিনোটি তালাবন্ধ পাওয়া গেছে। সেটি সিলগালা করা হয়েছে, পরে ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে। রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় অন্য ক্লাব ও ক্যাসিনোতে র্যাবের অভিযান চলছিল। বনানীতে হোটেল সেরিনার পাশে আরেকটি ক্যাসিনোতে বিপুল পরিমাণ মাদক ও জুয়া খেলার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।